ভুল করে ৪ লক্ষ টাকার সোনার হার সহ গণেশ বিসর্জন, এরপরই ঘটল আশ্চর্য ঘটনা
গণেশ পুজোর পর মূর্তি বিসর্জনের পালা। এক পরিবার গণেশ বিসর্জন সেরে বাড়িও ফিরে আসে। পরদিন তাদের হুঁশ হয় বিসর্জনের সময় সোনার হার খুলতেই ভুলে গেছে তারা।
যেমন বারোয়ারি গণেশ পুজোর আয়োজন হয় নানা জায়গায়, তেমনই অনেক পরিবারেও গণেশ পুজোর চল আছে। পারিবারিক এমনই এক গণেশ পুজোর বিসর্জনে এমন কাণ্ড ঘটল যা খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই পরিবার গণেশ পুজোর পর মূর্তি বিসর্জন দিতে যায় মুলুন্দ ইস্টের মিঠাঘর তালাও-তে। সেখানে আরও বিসর্জনও চলছিল। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পরিবারের পুজো করা মূর্তি বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
সেদিনটা কেটে যায়। পরদিন তাঁদের হুঁশ হয় গণেশ মূর্তি বিসর্জনের আগে পারম্পরিক একটি সোনার হার মূর্তির গলা থেকে খুলতে ভুলে গেছেন। ৪ লক্ষ টাকার ওই সোনার হার সমেতই গণেশ মূর্তি বিসর্জন করে তাঁরা চলে এসেছেন।
বিষয়টি সম্বন্ধে টনক নড়তেই বাড়ির সদস্যরা ছোটেন যেখানে বিসর্জন দিয়েছিলেন সেখানে। সেখানে উপস্থিত বৃহন্মুম্বই পুরসভার আধিকারিকদের গোটা ঘটনা জানান। তাঁদের কাছে সব শোনার পর পুর আধিকারিকরা তাঁদের সেই চেনটি ফেরত দেন।
মুলুন্দের বাসিন্দা শ্রীনাথ রাও এবং তাঁর পরিবার হয়তো ভাবতেও পারেননি তাঁদের পারিবারিক ওই সোনার হার তাঁরা এভাবে ফেরত পাবেন। কিন্তু বিসর্জনের পর সেই সোনার হার পাওয়া গেল কীভাবে? এও এক আশ্চর্য কাহিনি।
বিসর্জনের জন্য ভাল সাঁতার জানা কয়েকজন জলে নেমেই ছিলেন। তাঁদেরই একজন সাঁতার কাটার সময় তাঁর হাতে বিসর্জন দেওয়া গণেশ মূর্তির পরনে থাকা বস্ত্রখণ্ড জড়িয়ে যায়। সেটি জলের ওপর ভাসছিল।
সেই বস্ত্রখণ্ডের সঙ্গেই জড়িয়েছিল সোনার হারটি। সেটি পাওয়ার পর তিনি জল থেকে উঠে এসে তা পুর আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন। পুর আধিকারিকরা সেই সোনার হারটি অবশেষে রাও পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারলেন।