Sports

মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দ্বৈরথ শেষ ২-২ গোলে

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় ঘরে তুলতে পারল না মোহনবাগান। ২টি গোল শোধ দিয়ে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে লাল হলুদ। আর সেই ২-২ স্কোরেই শেষ হয় কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ডার্বি। রবিবার খেলা হয়েছে দেখার মতন। ডার্বির মানসিক চাপ ভুলে ২ দলই এদিন আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলা খেলে। টানটান হয় খেলা। খেলা শুরুর ১৯ মিনিটের মাথায় সবুজ মেরুনের হয়ে গোল করেন পিন্টু মাহাতো। ১ গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগান যেন একটু বেশি তেড়েফুঁড়ে খেলা শুরু করে। ১০ মিনিটর পর ফের গোল পায় মোহনবাগান। এবার গোল করেন হেনরি কিসেক্কা। ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ২-০। মোহনবাগান ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে আসে। শেষ ৬ বার মুখোমুখিতে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। এই মরসুমের প্রথম সম্মুখ সমরেও হারের মুখে পড়ে অনেকেই টিভির সামনে থেকে উঠে যান। চরম বিরক্তি নিয়ে বন্ধ করে দেন টিভি সেট। যুবভারতীতেও তখন ইস্টবেঙ্গলের দিকে পিন পড়লে শব্দ পাওয়া যাবে এমন অবস্থা।

এখান থেকেই ঘুরতে শুরু করে খেলা। মোহনবাগানের প্রবল দাপটে প্রথম ধাক্কাটা দেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা। তাও আবার প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মুখে। প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর পর থেকেও ২ দল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু করে। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেই কর্নার থেকে আসা বল মোহন গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে ফিরতেই তা জালে জড়িয়ে দেন রালতে। খেলায় সমতা ফেরে। গ্যালারিতে তখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে আত্মহারা। এই ম্যাচে যে তাঁরা সমতাও ফেরাতে পারবেন তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। এরপর খেলায় ২ পক্ষই সুযোগ পেয়েছে। তবে তা গোলে পর্যবসিত করে তুলতে পারেনি। ফলে খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *