![East Bengal Mohun Bagan Derby](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2018/12/east-bengal-mohun-bagan-derby-1.jpg)
রবিবার যুবভারতীর রঙ হয়ে গেল লালহলুদ। জ্বলল মশাল। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ভরে গেল ইলিশের ছবিতে। আর সেই পরিচিত টিকা টিপ্পনী তো রইলই। এদিন ছিল এই বছরের শেষ ডার্বি। ডার্বিতে শেষ ৭টি ম্যাচের একটাও জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহন শিবিরের চাপ ছিল স্টার খেলোয়াড় সনি নর্ডির না থাকায়। যদিও এদিন খেলা শুরুর পর খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় একটি লো ক্রস থেকে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন মোহনবাগানের আজহারউদ্দিন মল্লিক। ১-০-তে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কিন্তু সেই খুশি সামান্য সময়ই স্থায়ী হয়েছে কারণ ১৭ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দেন লালহলুদের রালতে। জবি জাস্টিনের পাস বক্সে রিসিভ করেন রালতে। তারপর তা গোলে পাঠাতে এতটুকু ভুল করেননি তিনি। খেলায় সমতা ফেরে। হাফ টাইমের ঠিক আগে খেলার ৪৪ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের জবি জাস্টিন একটি দুরন্ত ব্যাকভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
![East Bengal Mohun Bagan Derby](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2018/12/east-bengal-mohun-bagan-derby-2.jpg)
হাফটাইমের পরও মাঠে ইস্টবেঙ্গলের প্রাধান্য ছিল। খেলার ৬১ মিনিটের মাথায় রালতে ফের স্কোর করেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। লালহলুদ এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। এই অবস্থায় মোহনবাগানের খেলায় ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে ২ গোলের লিড ইস্টবেঙ্গলকে চাগিয়ে দিয়েছিল। তারা মাঠে তাদের পুরোটা উজাড় করছিল। খেলার ৭৫ মিনিটের মাথায় গোল পার্থক্য কমায় মোহনবাগান। বোরজা গোমেজের হেডে বাইরের দিকে যাওয়া বল বক্সের মধ্যে রিসিভ করে তা ইস্টবেঙ্গলের গোলে পাঠিয়ে দেন দিপান্দা। ফলে গোল পার্থক্য কমে দাঁড়ায় ৩-২। যদিও এরপর আর কোনও পক্ষই গোল করতে সমর্থ হয়নি। তবে এদিন হেরেও বড় একটা ক্ষোভ চোখে পড়েনি মোহনবাগান সমর্থকদের মুখে চোখে। বরং হারলেও দলের খেলায় অনেকেই খুশি।