জেল থেকে কয়েদি নিয়ে গিয়ে বিয়ের কাজ, পুলিশ আধিকারিকের কড়া সাজা
জেলে অনেকেই গারদের পিছনে আটক রয়েছে। তাদেরই কয়েকজনকে নিজের বিয়েতে বিশেষ কয়েকটি কাজের দায়িত্ব দেন। কড়া সাজা পেলেন পুলিশ আধিকারিক।

তিনি জেলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাই কয়েদিদের গারদ খোলা হবে না বন্ধ তাও তাঁর হাতেই। কয়েদিদের কে কি করবে তাও তাঁর হাতে। কিন্তু তারও একটা নিয়ম আছে। তারমধ্যে থেকেই কাজ করতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের।
কিন্তু তিনি গারদের পিছন থেকে কয়েকজনকে বার করে নিয়ে যান। তাদের নিশ্চিন্তে জেল থেকে চলে যেতে দেন। তবে যেখানে ইচ্ছা সেখানে নয়। তাঁরই বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে বলেন তিনি।
কয়েদিরাও সেই নির্দেশ মেনে পুলিশ আধিকারিকের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়। সেখানে তাদের দিয়ে রান্না করা থেকে পরিবেশন সবই করান ওই আধিকারিক।
এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাফসাফাইয়ের কাজও তাদের দিয়েই করানো হয়। কাজ হয়ে গেলে তাদের ফের জেলে ফিরে যেতে বলা হয়। তারাও কথামত জেলে ফিরে যায়।
বিষয়টি কিন্তু উচ্চতম কর্তৃপক্ষের নজর এড়ায়নি। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে পৌঁছয়। বিচারক সাফ জানান ওই পুলিশ আধিকারিকের ভাগ্য ভাল যে কয়েদিরা অন্য কোথাও পালিয়ে না গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফের জেলেই ফেরত যায়।
নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ওই পুলিশকর্মীর ১৫ মাসের সাজা শোনায় আদালত। ১৫ মাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। গারদের পিছনে জায়গা হয় খোদ ওই পুলিশ আধিকারিকেরই। ঘটনাটি ঘটেছে আর্জেন্টিনায়। ঘটনাটি সামনে আসার পর বিশ্বজুড়েই খবরটি আলোড়ন ফেলে দেয়।