State

ভাঙরে তৃণমূলের শান্তিমিছিল, পাশাপাশি রেজ্জাক, আরাবুল, কাইজার

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের কোণায় কোণায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন চলতে থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে যে তার প্রতিকূল প্রভাব তা ভালই জানেন তাঁরা। জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে দলের স্বার্থে একসাথে চলার বার্তা যে দেওয়া হয়নি তাও নয়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক নেতৃত্বকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙর ছিল ভাঙরেই।

স্থানীয় বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা, আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। এলাকায় তৃণমূলের এই ৩ স্তম্ভ যে একে অপরকে একবিন্দু জমি ছাড়তে নারাজ তা শুধু ওই এলাকাই নয়, গোটা রাজ্য জানে। ফলে এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। কদিন আগেও বোমাবাজির পর তৃণমূল নেত্রী কড়া সুরেই এই ৩ স্থানীয় নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। তাঁদের একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে শান্তিমিছিল করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে শনিবার বিকেল ৩টেয় কাশীপুর থানার সামনে থেকে অনন্তপুর পর্যন্ত মিছিল করেন রেজ্জাক, আরাবুল, কাইজার। মিছিলে পা মেলান বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ৩ নেতার একসঙ্গে চলায় এদিন অনেকটা উজ্জীবিতও দেখিয়েছে তাঁদের।


অনন্তপুরে মিছিল শেষে সভামঞ্চ থেকে বক্তব্যও রাখেন ৩ নেতা। এলাকায় শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা দিতেই যে তাঁরা এদিন একত্র হয়েছেন তাও পরিস্কার করে দেন যুযুধান এই ৩ নেতা। আগামী দিনেও একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার শোনা গেছে তাঁদের গলায়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button