World

পরপর ১৪টি রকেট হানায় রক্তাক্ত শহরে ২টি বোমা বিস্ফোরণও

সন্ত্রাসবাদী শক্তি যে একদিনে একটা শহরের চেহারা বদলে দিতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ মিলল শনিবার। পরপর ১৪টি রকেট হানায় রক্তাক্ত শহরে হল ২টি বোমা বিস্ফোরণও।

কাবুল : শনিবার সকালে তখনও শহরটা পুরোপুরি জেগে ওঠেনি। কর্ম তৎপরতাও সেভাবে শুরু হয়নি। আচমকাই একটা রকেট হানার ঘটনা ঘটে সেখানে। চমকে ওঠেন সকলে। বুঝতে অসুবিধা হয়না ফের সন্ত্রাসবাদী হানার কবলে পড়েছে তাঁদের শহরটা।

অবশ্য এ শহরের মানুষ সন্ত্রাসবাদী হানার সঙ্গে পরিচিত। সন্ত্রাসের থাবায় এ শহরের অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে। অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। অবশ্য সন্ত্রাস থেমে থাকেনি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এদিন অবশ্য একটি রকেট হানাতেই বিষয়টা থেমে যায়নি। প্রথম রকেট হানার পরই ফের রকেট আছড়ে পড়ে শহরের অন্য এক কোণায়। আর এভাবেই প্রশাসনকে কার্যত হতভম্ব করে একের পর এক আছড়ে পড়তে থাকে রকেট। শহরের বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়তে থাকে এই মারণাস্ত্র।

পরপর ১৪টি রকেট হানার ঘটনা ঘটে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুলে। ১৪টি রকেট হানায় তখন শহরে শুধুই পোড়া গন্ধ আর রক্তের হোলি খেলা। প্রাথমিক রিপোর্টই বলছে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রকেট হানায়। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

শহরের যখন এমন অবস্থা। বোঝাই যাচ্ছে না আবার কোথায় আছড়ে পড়বে রকেট। সেই সময় চেহেল সতুন ও আরজান কিমত এলাকায় ২টি আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা পড়ে। ফের সুরক্ষাকর্মীরা সেখানে ছোটেন।

শনিবার সকালের মধ্যে গোটা কাবুল শহরটার চেহারা বদলে দিয়েছে এই সন্ত্রাসবাদী হামলা। গোটা শহর জুড়েই এখন হাহাকার, পুলিশের ছোটাছুটি, মানুষের মুখে চোখে আতঙ্ক, এলাকায় এলাকায় পোড়া গাড়ি, ভেঙে পড়া বাড়ি, উড়ে যাওয়া রাস্তার ধারের ছবি। শহর জুড়ে শুধুই আতঙ্ক। পুলিশ ও সেনা গোটা শহরে তৎপর রয়েছে। অধিকাংশ মানুষই ঘর ছেড়ে বার হচ্ছেন না।

কাবুলে কিছু হলে প্রথমেই মনে আসে তালিবানের কাজ হতে পারে। কিন্তু এই ঘটনার পর তালিবানের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এ কাজ তাদের নয়।

তাহলে কার? সেটা পরিস্কার নয়। কারণ অন্য কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এর দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানে তালিবান ছাড়াও ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে আইএস। শক্তি তৈরি করেছে আল কায়দাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *