Sports

সুইডেনকে হারিয়ে ২৮ বছর পর শেষ চারে ইংল্যান্ড

এর আগে কখনও সুইডেনকে বিশ্বকাপে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। এর আগে ২ বার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-সুইডেন। ২ বারই ড্র হয়েছে। এবারই প্রথম সুইডেনকে হারাল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে আজ পর্যন্ত ৩ বার সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। এবার পৌঁছল। ১৯৯০ সালে শেষবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মুখ দেখেছিল। তারপর ২৮ বছর পর এবার দেখল। বেকহ্যাম, রুনির মত খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি ইংল্যান্ড দলও কখনও সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। ফলে এদিন সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়া ইংল্যান্ডের কাছে বড় প্রাপ্তি। ১৯৬৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপ হাতে তুলেছে তারা। ওই একবারই ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার কী পারবে? হ্যারি কেন কী এনে দিতে পারবেন ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ? আপাতত এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে ইংল্যান্ড এখন আর ২টি ম্যাচ দূরে।

তার আগে শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল সুইডেনের। খেলার শুরু থেকেই কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রমশ খেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। সুইডেনকে তাদের গোলের কাছে আক্রমণ হানতেই দিচ্ছিলনা ব্রিটিশ রক্ষণ। অন্যদিকে ১৮ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেন একটা দারুণ শট নেন। যা সুইডেনের গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এরপর খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় একেবারে সেট পিস মুভমেন্ট থেকে গোল পায় ইংল্যান্ড। কর্নার থেকে ভাসানো বলে নিখুঁত হেড করে বল গোলে পাঠিয়ে দেন ইংল্যান্ডের হ্যারি ম্যাগুইর। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। ৪৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান ইংল্যান্ড ২-০ করতেই পারত। একেবারে ফাঁকা গোল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ডের স্টারলিং। বল নিয়ে দীর্ঘ সময় গোলের সামনে ফাঁক খুঁজে বেড়ান তিনি। ততক্ষণে সুইডিশ রক্ষণ তাঁকে ঘিরে ফেলেছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৬ মিনিটের মাথায় সুইডেনের দুরন্ত হেড প্রায় ঢুকে পড়ছিল ইংল্যান্ডের গোলে। গোলরক্ষক সেই গোল তাক লাগানো ঝাঁপ দিয়ে বাঁচিয়ে দেন। খেলার ৫৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের ডেলে আলি একটা সাজানো বল পান হেড করার জন্য। সেই বলে মাথা ছোঁয়াতে ভুল করেননি এই তরুণ প্রতিভা। বল জড়িয়ে যায় সুইডেনের গোলে। ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। এরপরও সুইডেনের চেয়ে ইংল্যান্ডের আক্রমণ বেশি ছিল। সুইডেন ২ গোল হজম করার পর মরিয়া চেষ্টার বদলে কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। সেই অর্থে ইংল্যান্ডের গোলে খুব কমই হানা দিতে পেরেছেন সুইডেনের খেলোয়াড়েরা। তবে ৬১ মিনিটের মাথায় তারা ইংল্যান্ডের গোল মোটামুটি ফাঁকাই পান। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি সুইডেন। ৭১ মিনিটের মাথায় ফের গোল ফাঁকা অবস্থায় পান সুইডেনের বার্গ। কিন্তু বল আয়ত্তে নিয়ে বার্গের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এরপর শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত কিছুই করে উঠতে পারেনি সুইডেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *