ঘরে ৩ দিন ধরে ফেলে রাখা লাশ। মৃতদেহের পচা কটু গন্ধে টেকা দায়। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে সন্দেহবশে ঢুকে পড়েন অন্যান্য প্রতিবেশিরা। ঘরের মেঝের দিকে তাকিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান সকলে। মেঝেতে এক মহিলার পচন ধরা দেহ আগলে বসে আছেন বৃদ্ধ। যিনি নিজে আবার পেশায় একজন চিকিৎসক। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় প্রতিবেশিদের এই অভিযোগ আরও একবার মনে করিয়ে দিল রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনাকে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২২ ডিসেম্বর অসুস্থ বোন করবী ধারাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রবীণ নীলকান্তবাবু। ২৪ ডিসেম্বর করবী ধারা হাসপাতালেই মারা যান। এরপর বোনের দেহ সৎকার না করে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন দাদা। টাকার অভাবে বোনের মৃতদেহ সৎকার না করে ৩ দিন ধরে বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বৃদ্ধ নীলকান্ত ধারা।
প্রতিবেশিদের অভিযোগ, একসময়ের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ডাক্তার নীলকান্ত ধারা মানসিকভাবে অসুস্থ। এরফলেই চিকিৎসক হয়েও এমন অবিবেচকের মত কাজ তিনি করতে পেরেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই পরে পুলিশকে বৃদ্ধের মৃতদেহ আগলে রাখার খবর দেন। পুলিশ এসে মৃত করবী ধারার দেহ শ্মশানে দাহ করার ব্যবস্থা করে।