State

সবং-এ উপনির্বাচন ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

খুব শান্তিতে কাটল না সবং-এ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণপর্ব। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক সবংয়ে গত বছর ভোটে জিতে কংগ্রেস বিধায়ক হন মানস ভুঁইয়া। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব, বিশেষত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও আবদুল মান্নানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। যার জেরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মানসবাবু। তার পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। তৃণমূলের রাজসভার সাংসদ করা হয়েছে তাঁকে। ফলে সবং আসনের বিধায়ক পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে মানস ভুঁইয়াকে। সেই খালি আসনেই এদিন হল ভোটগ্রহণ। সবংয়ে এবার তৃণমূল প্রার্থী মানসবাবুর স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়া। অন্যদিকে কংগ্রেসের ‘পকেট সিট’ হিসাবে পরিচিত সবংয়ে এবার কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জীব ভৌমিক। সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন রীতা মণ্ডল জানা। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সিপিএম ছেড়ে আসা অন্তরা ভট্টাচার্য।


৩০৬টি বুথে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ২ লক্ষ ২০ হাজার ভোটারের এই আসনে এদিন কার্যত চতুর্মুখী লড়াই। যুযুধান তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি। এদিকে সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই সবংয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। বলপাই ও পেরুয়ায় বিজেপি এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মুরারিচকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় এক ব্যক্তি। কাঁটাবেরিয়া ও মকরানিচকে ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার জেরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পানপাড়া সহ বেশ কয়েক জায়গায় বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতেই দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কয়েক জায়গায় বাড়ি ভাঙচুর ও বিরোধী এজেন্টদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button