State

ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির জের, বানভাসি পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলা

চলতি বছরে বৃষ্টির প্রাবল্য উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকে বারবার বানভাসি করেছে। সেই পরিস্থিতি সামলে এখন কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য। বর্ষাও বিদায়বেলায়। শরতের আমেজ আসতে চলেছে। মাঝে কটাদিন প্রবল বৃষ্টি বাদলা হলেও তা স্বাভাবিক জনজীবনকে বড় একটা ব্যতিব্যস্ত করার মত ছিলনা। কিন্তু পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গের মাথায় হাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোদ ঝলমল আকাশে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা! ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়েছে। ফলে নদীবাঁধগুলো থেকে জল ছাড়তে হচ্ছে। আর সেই ছাড়া জল হুহু করে ঢুকছে রাজ্যে। ভাসিয়ে দিচ্ছে গ্রাম থেকে শহর, ফসল ভরা খেত থেকে মানুষের বাসস্থান।

দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের অধিকাংশ নদী ফুঁসছে। অজয় নদের জলও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে ক্রমশ আতঙ্ক দানা বাঁধছে। অজয় নদ এতটাই ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে যে জলে নামা বারণ। বন্ধ ফেরি চলাচল। যার জেরে নদিয়া ও বীরভূমের কিছু অংশের মানুষ প্রবল সমস্যায় পড়েছেন।

পূর্ব বর্ধমানে কুনুর নদীর জল বেড়ে আউশগ্রাম থানার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত। প্রচুর ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ধান চাষের ক্ষতির সম্ভাবনা সর্বাধিক। পাকা ধান চলতি মাসের শেষেই তুলে ফেলার কথা। এই অবস্থায় জলে খেতজমি ভরে থাকলে মাঠেই ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

বীরভূমের নদীগুলি ফুলেফেঁপে ওঠায় ময়ূরাক্ষীর ওপর মাসাঞ্জোর বাঁধ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া কোপাই, দ্বারকা, অজয়ের জল বাড়ায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। হুহু করে গ্রামগুলোতে জল ঢুকছে। গ্রাম লাগোয়া বিভিন্ন বাঁধ জলের তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে। যা আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। জলে ভাসছে জমি। মাথায় হাত কৃষকদের।

হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেও জল বাড়ছে। অনেক গ্রাম প্লাবিত। মাথার ওপর ঝলমলে রোদ। আর খেত জমি বানভাসি। এমন চিত্র সচরাচর এখানকার মানুষ প্রত্যক্ষ করেন না। তবে জল ঢুকছে। গ্রাম ভাসছে।

অজয় নদ ভাসত না। কিন্তু হিংলো জলাধার থেকে জল ছাড়ায় আচমকাই অজয় ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। যার জেরে মুর্শিদাবাদের কান্দি সংলগ্ন এলাকা জলমগ্ন। অন্যদিকে বাঁকুড়ার সোনামুখীর একটা বড় অংশ বানভাসি চেহারা নিয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়া বন্ধ না করলে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *