National

আরুষি হত্যাকাণ্ডে তলোয়ার দম্পতি বেকসুর খালাস

২০১৩ সালে সিবিআই আদালত আরুষি তলোয়ার হত্যাকাণ্ডে তার বাবা-মাকে দোষী সাব্যস্ত করে। মেয়েকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারকে। ২০১৪ সালে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চিকিৎসক দম্পতি। তলোয়ার দম্পতির সেই আবেদনের এদিন রায় দিল আদালত। আগের রায়কে নাকচ করে তাদের বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক্ষেত্রে বেনিফিট অফ ডাউটে কার্যত মুক্তি মিলল কন্যাহত্যায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দম্পতির।

১৪ বছর বয়স হতে আরুষির বাকি ছিল মাত্র ৮ দিন। ২০০৮ সালের ১৬ মে তার বিছানায় আরুষিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নয়ডার জলবায়ু বিহারে তলোয়ারদের ফ্ল্যাটে আরুষির দেহ গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল তাদের পরিচারক হেমরাজই এই হত্যার পিছনে রয়েছে। কিন্তু আরুষির দেহ পাওয়ার ২ দিন বাদেই হেমরাজের দেহ বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয়। নাটকীয় মোড় নেয় রহস্য।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তদন্তে নেমে ক্রমশ তলোয়ার দম্পতির দিকেই যেতে থাকে অভিযোগের আঙুল। পুলিশের অনুমান সম্মান রক্ষার্থে হত্যার ঘটনা ঘটেছে আরুষির সঙ্গে। এক্ষেত্রে তার বাবা-মাই খুনের জন্য দায়ী। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় আরুষির গলার কাটা দাগ দেখে। যেভাবে গলা কাটা হয়েছিল, তদন্তকারীদের সন্দেহ ওভাবে কেবল পাকা হাতেই কাটা সম্ভব। অর্থাৎ কোনও চিকিৎসকই পারেন অত সূক্ষ্মভাবে ছুরি চালাতে। বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে সিবিআই আদালত ২০১৩ সালে তলোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যাবজ্জীবন থেকে একেবারে বেকসুর খালাস পেলেন তলোয়ার দম্পতি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *