State

সৌরভ হত্যা মামলা, দোষী সাব্যস্ত ১২

সৌরভ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। এদের মধ্যে ৯ জনকে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি ৩ জনকে অপরাধীদের সাহায্য করায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। অপহরণ, খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার। ১ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। শনিবার দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। সৌরভ হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই বারাসত আদালতের সামনে উৎসাহী মানুষের ভিড় জমতে থাকে। অভিযুক্তদের আদালতে আনা হলে সাংবাদিকরা মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তার মধ্যে চাপের নামমাত্রও ছিল না। বরং ভেতরে যাওয়ার সময় সে জানিয়ে যায় এখন কিছু বলার নেই, রায় শুনে বেরিয়ে যা বলার বলবে। এদিন মাত্র ১০ মিনিটেই রায় শোনান বিচারক। রায় ঘোষণার পর এজলাসেই সৌরভের পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে দোষী সাব্যস্তরা। সৌরভের বাবা সরোজ চৌধুরীর দাবি, রাজনৈতিক মদত না থাকলে এই অবস্থাতেও তাঁকে হুমকি দেওয়ার সাহস দেখাতে পারত না শ্যামল কর্মকাররা। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন বলেও জানান সরোজবাবু। বেকসুর খালাস পাওয়া অনুপ তালুকদারকে নিয়ে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। তবে পুলিশের কাছ থেকে সবরকম সাহায্য তিনি পাচ্ছেন বলে আদালত চত্বরেই জানান সরোজবাবু। এই রায়ে তিনি কী খুশি? এই প্রশ্নের জবাবে সরোজবাবু সাফ জানিয়েছেন, শনিবার শাস্তি ঘোষণা। দোষীদের শাস্তি কী হয় তা শোনার পরই তিনি খুশি কিনা জানাবেন। তিনি চান দোষীদের ফাঁসি হোক। রায়ে খুশি না হলে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন সরোজবাবু। সৌরভের পরিবার এখনও সিদ্ধান্ত না নিলেও তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে এদিনই স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভি‌যুক্তপক্ষের আইনজীবী। আদালত থেকে বার করার সময় এদিন মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করে শ্যামল। বেআইনি মদের কারবারের প্রতিবাদ করায় ২০১৪ সালের ৫ জুলাই বামনগাছির ছাত্র সৌরভ চৌধুরী খুন হন। সেই মামলারই রায় ঘোষণা হল এদিন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *