State

মোর্চার বন্‌ধে পাহাড়কে অনেকটা সচল রাখল তৃণমূল

মুখ্যমন্ত্রী সর্বশক্তি দিয়ে মোর্চার ডাকা পাহাড় বন্‌ধের মোকাবিলার কথা বলেছিলেন। বুধবার সকালে কিন্তু তেমন কিছু চোখে পড়েনি। বরং পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার ডাকা পাহাড় বন্‌ধের ভাল প্রভাব পড়ে সর্বত্র। সকাল থেকে অধিকাংশ দোকান ছিল বন্ধ। রাস্তায় ছিলনা গাড়ি। এমনকি বন্‌ধ মোকাবিলায় যে সরকারি বাস নামানো হয়ে থাকে, তাও এদিন সকালের দিকে তেমন চোখে পড়েনি পাহাড়ে। তবে রাস্তায় পুলিশ ও সিআরপিএফের টহল ছিল চোখে পড়ার মত। নিরাপত্তা বন্দোবস্ত ছিল আঁটসাঁট। অনেক জায়গায় বন্‌ধ সমর্থকদের পিকেটিংয়ে যত লোক ছিল তার চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল পুলিশ। কার্শিয়ঙয়ে বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন মোর্চা সমর্থককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কালিম্পংয়ে বন্ধের চেহারা ছিল সর্বাত্মক। একই ছবি ধরা পড়ে দার্জিলিংয়ে। মোর্চার ডাকা বন্‌ধে কার্শিয়ঙয়ে টয় ট্রেন সকাল থেকেই বন্ধ ছিল। স্টেশনে সকাল থেকেই মোর্চা সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। সকালে তাই সকলেরই মনে হয়েছিল মোর্চা নিজের জায়গাই ধরে রাখল। কিন্তু এই চেহারা বদলাতে শুরু করে বেলা একটু বাড়তেই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একটি পেট্রোল পাম্প খুলিয়ে দেন। বেশ কিছু দোকানপাটও খুলিয়ে দেন তিনি। রাস্তায় বার হয় সরকারি বাস। অন্যদিকে মিছিল করেন প‌র্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। মিছিল করে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে আশ্বস্ত করে দোকান খোলার ব্যবস্থা করেন তিনি। পাহাড়ের সরকারি দফতরগুলিতেও এদিন হাজিরা ছিল ৯৬ শতাংশ। সর্বত্রই তৃণমূল পাল্টা মিছিল বার করে বন্‌ধ ব্যর্থ করার চেষ্টা করে। আর সে ব্যাপারে সাফল্যও এসেছে। বন্‌ধ রুখতে অনেকটাই সফল হয়েছে পাহাড়ে তৃণমূলের তৎপরতা। জোর করে বন্‌ধ করানো ও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে প্রায় ৩০০ জন মোর্চা সমর্থককে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন বিমল গুরুং বলা মানে স্তব্ধ হয়ে যেত পাহাড়। এদিন কিন্তু ছবি বদলেছে। বন্‌ধ রোখার যে কৌশল তৃণমূল নিল তাতে আগামী দিনে এখানে বন্‌ধ ডাকার আগে ১০ বার ভাববেন গুরুংরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *