বছরের শুরুতেই সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় বাঘের হানা
বছরের শুরুতেই সুন্দরবনে বাঘের হানা। সবে কুলতলিতে আতঙ্ক ছড়ানো বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সে স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না।
![Sundarbans](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2022/01/sundarbans.jpg)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে টানা প্রায় ৫ দিন ধরে বাঘে মানুষে লুকোচুরি চলার পর অবশেষে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে কাবু করেন বন কর্মীরা। পরে তাকে ঘন জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কুলতলির বাসিন্দারা।
কিন্তু সে শান্তি বজায় রইল না। ফের বর্ষশেষের রাতে ২ মৎস্যজীবী বাঘের কবলে পড়লেন। সুন্দরবনের রংমারি চর এলাকায় বিদ্যাধরী নদী দিয়ে নৌকায় ভেসে যাওয়ার সময় ঘাপটি মেরে থাকা বাঘটি আচমকাই নৌকায় লাফ দেয়।
মৎস্যজীবীদের আক্রমণ করে। ২ মৎস্যজীবী হাতের বৈঠা নিয়ে বাঘকে ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন। তাতে কাজও হয়।
বাঘটি বৈঠার আঘাতে ভয় পেয়ে ফের চরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই ২ মৎস্যজীবীর ১ জনের মাথা ও ১ জনের হাতে আঘাত লাগে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার গোসাবার চরঘেরিতে জলের ধারে একটি বাঘের দেখা মেলে। নরম মাটিতে বাঘের পায়ের ছাপও পাওয়া যায়। দ্রুত এলাকায় বন কর্মীরা নজরদারি শুরু করেন। স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করা হয়।
শুরু হয় জনবসতির আশপাশ জাল দিয়ে ঘেরার কাজ। সেই কাজ করার সময় শনিবার সাতজেলিয়া এলাকায় এক বন কর্মীকে আক্রমণ করে লুকিয়ে থাকা বাঘটি।
যদিও তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাঘ তাড়াতে আরও তৎপর হয়েছে বন দফতর। বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বাঘটি ঘন জঙ্গলে ফিরে যায়।