State

দিঘায় জলোচ্ছ্বাস, জল ঢুকছে ফ্রেজারগঞ্জ, গঙ্গাসাগরে

বাংলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় গত বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও প্রবল জলোচ্ছ্বাস চলছে। জল ঢুকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গাতেও।

কলকাতা : উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি নিম্নচাপ ও সেই সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার থেকেই। জলোচ্ছ্বাস আরও ভয়ংকর চেহারা নেয় জোয়ারের জন্যও। ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকেই দিঘার বেহাল দশা। সমুদ্রের ধারে অতিকায় ঢেউ আছড়ে এসে পড়ছে গার্ডওয়াল পার করে। গার্ডওয়াল পার করে জল ঢুকে আসছে রাস্তায়। উত্তাল সমুদ্রের ধারে কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা কাউকে। তারসঙ্গে চলছে বৃষ্টি। কখনও কম, কখনও বেশি।

দিঘা বলেই নয়, শঙ্করপুর, তাজপুরের মত জনপ্রিয় সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও একই পরিস্থিতি। সমুদ্র উত্তাল। প্রবল জলোচ্ছ্বাস চলছে। জল ঢুকে আসছে আশপাশের গ্রামেও। অনেক এলাকায় জল ঢুকতে থাকায় উপকূলবর্তী বাসিন্দারা চিন্তায় পড়েছেন। এদিকে আগামী রবিবার ফের একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কথা রয়েছে। যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরাল করে তুলতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বোল্ডার ফেলে জলোচ্ছ্বাস রোখার চেষ্টা শুরু করেছে সেচ দফতর।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর সহ বিভিন্ন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা যখন এমন জলোচ্ছ্বাস-এর জেরে সমস্যায় পড়েছে, তখন একই বেহাল দশা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলির। প্রবল জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। জল ঢুকে আসছে জনবসতিতে। ফ্রেজারগঞ্জের মত পর্যটনকেন্দ্রেও জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়েছে কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, গঙ্গাসাগর সহ অনেক জায়গা। সমুদ্রের জল অনেক এলাকাতেই ঢুকতে থাকায় চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন। ভরা কোটাল আরও পরিস্থিতি ঘোরাল করে তুলেছে।

কাকদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় নদী ও সমুদ্রের ধারে দেওয়া বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। ফলে জল ঢুকছে বিভিন্ন এলাকায়। জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে কোটালের জোড়া ধাক্কায় বেসামাল অনেক জায়গা। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জলোচ্ছ্বাস ও কোটালের জেরে অনেক জায়গায় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে। এখনও আম্ফানের জের কাটেনি। তারমধ্যেই নতুন চিন্তার ভাঁজ পুরু হল স্থানীয় মানুষের কপালে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *