তৃণমূল ঝড়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তছনছ হয়ে গেল বিরোধী জোটের সব আশা। এক্সিট পোল থেকে শুরু করে আশা-আশঙ্কার কানাঘুষো, সবকিছুকে ভুল প্রমাণ করে বাংলার মসনদে ফের মমতা সরকার। ২০১১ ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। আর পাঁচবছরে মানুষকে আরও পাশে পাওয়ার ছবি স্পষ্ট করে দিল ২০১৬-র জনমত। সারদা থেকে নারদ, কোনও কিছুই তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারল না ভোটের ভবিষ্যতে। স্বপ্নের জয়ে ফের পাঁচবছরের জন্য রাজ্যশাসনের দণ্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন বাংলার মানুষ। ভোটে কারচুপির প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের মুখ বাঁচানোর সুযোগও শেষ। কারণ নির্বাচন কমিশন যেভাবে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে ভোট করিয়েছেন তাতে রিগিংয়ের কাঁধে ভর করে হারের ব্যাখ্যা সামনে আনার উপায় নেই। ফলে মাথা পেতেই এই রায়কে গ্রহণ করতে হয়েছে তাঁদের। আগামী শুক্রবার ২৭ মে নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার জয়ের ছবি স্পষ্ট হওয়ার পর একথা জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে এই জয়ের উৎসব পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে দলনেত্রী যাই বলুন পাড়ায় পাড়ায় জয়ের উৎসব পালন শুরু হয়ে যায় বেলা গড়াতেই। কারণ জয়ের তালিকা সামনে না আসুক টিভি বা ইন্টারনেটের পর্দায় এগিয়ে থাকার প্রবণতায় তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ছবিটা। ফলে সর্বত্রই সবুজ আবীরে মুখ ঢাকে মেঘে ঢাকা আকাশ। ফাগে সবুজ মুখগুলো তখন আনন্দে আত্মহারা। চলছে নাচ, গান, হুল্লোড়। সঙ্গে বাজি পোড়ানো। মিষ্টি মুখ। অনেক জায়গায় দুপুরের পরই বিজয় মিছিল বার করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যটাই তখন ঘাসফুলে একাকার। আর এই খুশির মুহুর্তে জ্যৈষ্ঠের প্রবল তাপ থেকে রেহাই দিতে আকাশে তখন জলভরা মেঘের আনাগোনা। সঙ্গে প্রাণ জুড়নো বৃষ্টির যোগ্য সঙ্গত।