তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলা পেল ২ প্রতিমন্ত্রী
তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের এনডিএ সরকারে বাংলা থেকে প্রাপ্তি ২ মন্ত্রী। যদিও কানাঘুষোয় যে ২ জনের মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তির সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল এঁরা তাঁরা নন।
তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জওহরলাল নেহেরুর পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন। অবশ্যই এটা একটা ঐতিহাসিক মুহুর্ত।
এবার অবশ্য এনডিএ বাস্তবিকই জোট সরকার। ২০১৪ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ২৮২, ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৩০৩। ফলে ২ বারই এনডিএ সরকার কেন্দ্রে শাসনভার সামলানোর কথা বলা হলেও আদপে বিজেপির একারই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল।
ফলে অন্য কোনও দলের ওপর সরকার গঠন নির্ভর করছিল না। কিন্তু এবার যেহেতু বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই, তাই এবার এনডিএ বাস্তবেই জোট সরকার।
এবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে বাংলার ২ বিজেপি সাংসদের। এবার বিজেপির বাংলা থেকে প্রাপ্তি ১২টি আসন।
এমন শোনা যাচ্ছিল যে উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিজেপির আর এক সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মন্ত্রী করার জন্য রাজ্য বিজেপি থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যদিও তা কানাঘুষোই রয়ে গেল।
বাস্তবে দেখা গেল এবার দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।
রাষ্ট্রপতি ভবনে এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ৮ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। যেখানে পড়শি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল। যিনি প্রচণ্ড নামে বেশি পরিচিত। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার যুগনৌথ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। আর ছিলেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজু।
ভারতের অন্যতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, সুপারস্টার শাহরুখ খান, রজনীকান্ত, অক্ষয় কুমার, অনুপম খের, রবিনা ট্যান্ডনরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন আরও নানা ক্ষেত্রের স্বনামধন্যরা।