দেওয়ালের পিছনে লুকিয়ে ছিল ১৮০০ বছর, অবশেষে তার খোঁজ মিলল
দেওয়ালের পিছনে যে এমন কিছুও গাঁথা থাকতে পারে সেটা কেউ ভাবতেও পারেননি। ১৮০০ বছর ধরে তাই অজানাই রয়ে গিয়েছিল এই প্রস্তর পুরুষ।
১৮০০ বছর পুরনো। ফলে তাকে কোথাও মাটি খুঁড়ে পাওয়া যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয়নি। বরং একটি দেওয়ালের পিছনে গাঁথা ছিল সেটি। তাও আবার সকলের অলক্ষ্যে। কেউ জানতেও পারেননি যে দেওয়াল তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সেই দেওয়ালের পিছনে রয়েছে একটি মার্বেল পাথরের স্থাপত্যকীর্তি।
যা এক পুরুষের শরীরের আদলে তৈরি। যার আবার মাথা, হাত এবং পা কোনওটাই ওই মূর্তিতে নেই। তবে তার প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
এটি পাওয়া গেছে একটি স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামটিও এক কীর্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ২ হাজার বছর পুরনো একটি স্টেডিয়াম। যা ম্যাসিডোনিয়ান সেনারা তৈরি করেছিলেন।
সম্রাট আলেকজান্ডারের আনাটোলিয়ান প্রচারের সময় এটি তৈরি করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। এই স্টেডিয়ামেরই একটি দেওয়ালের পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে এই মার্বেল পাথরের পুরুষ স্থাপত্যটি।
তুরস্কের পশ্চিমে উসাক প্রদেশের ব্লান্ডাস শহরে রয়েছে এই স্টেডিয়ামটি। সেখানেই এই মূর্তি দেওয়ালের পিছন থেকে উদ্ধার করার পর সেটি স্থানীয় মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই সেটি সংরক্ষিত করা হয়েছে।
মূর্তিটি ৩৪ ইঞ্চি লম্বা এবং সাড়ে ১৮ ইঞ্চি চওড়া। এই প্রাচীন বিরল স্থাপত্যটি কবে থেকে সাধারণ মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন তা পরিস্কার নয়। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম সহ বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে খবরটি আলোড়ন ফেলে দেয়।













