বড় হয়েই চলেছে নরকের দ্বার, সবকিছু নিয়ে পাতাল প্রবেশের পথে বিশাল জমি
আশপাশের গ্রামের মানুষজনের আতঙ্ক প্রশমিত হচ্ছেনা। কারণ তাঁরা চোখের সামনে দেখছেন কীভাবে ক্রমশ বড় হয়ে চলেছে নরকের মুখ নামে পরিচিত মাটির পাতাল প্রবেশ।
						এর শুরুটা জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হয় ১৯৬০ সালে। সে সময় একটা বিশাল জঙ্গলের অনেকটা কেটে ফেলা হয়। ঘন জঙ্গলে ঢাকা জমিতে তার আগে সূর্যের আলো পড়ত না। গোটা এলাকা ঠান্ডা থাকত। কিন্তু জঙ্গল সাফ হতেই জমির ওপর সরাসরি এসে পড়ে সূর্যের আলো। ফলে উত্তাপ বাড়তে থাকে। যার জেরে গলতে থাকে মাটিতে জমে থাকা বরফ।
প্রায় আড়াই লক্ষ বছর আগে তুষার যুগে ওই মাটি বরফের সঙ্গে মিশে শক্ত হয়ে গিয়েছিল। জঙ্গল কাটার পর সেই অতিপ্রাচীন জমাট বরফ আস্তে আস্তে গলতে থাকে। যার জেরে মাটি আলগা হতে থাকে।
মাটি যত আলগা হতে থাকে ততই তা ধসে নিচের দিকে যেতে থাকে। এভাবেই এত বছর ধরে ক্রমে মাটির পাতাল প্রবেশ হতে থেকেছে। যা এখনও হয়ে চলেছে।
মাটির এই পাতাল প্রবেশের ফলে এখন কিলোমিটারের ওপর এলাকা জুড়ে মাটি পাতালে ঢুকে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে এক অতিকায় হাঁ মুখ।
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বাটাগে এলাকায় এই বাটাগাইকা ক্রেটার ক্রমশ বড় হয়েই চলেছে। এখন মাটি অনেকটা পাতালে প্রবেশ করে বিশাল গর্ত তৈরি করার পর মাটির নিচে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করেছে। তার জেরে আরও গভীর হচ্ছে গর্ত।
স্থানীয় মানুষজনের দাবি আশপাশে যা জমি পড়ছে তাই গিলে নিচ্ছে এই বাড়তে থাকা গর্তমুখ। তাঁদের আশঙ্কা আশপাশের লোকালয়ও এবার ওই গ্রাসে চলে যাবে।
এদিকে প্রকৃতির নিয়মে এই গর্ত কিন্তু বৃহৎ থেকে অতিবৃহৎ হয়েই চলেছে। যাকে স্থানীয়রা বলেন মাউথ অফ হেল বা নরকের দ্বার।













