ঘূর্ণিঝড় উপকারও করে, ঝড়ের দাপটে উঁকি দিল সে, সমুদ্রতটে বালি সরে তার দেখা মিলল
ঘূর্ণিঝড় মানেই তো ধ্বংস। কিন্তু সে যে কিছু ভালও করে তার প্রমাণ মিলল। ঝড়ের দাপটে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকতের বালি সরে তার ঝলক দেখা গেল।
২০২৩ সালে একবার তার দেখা মিলেছিল। সে সময় সেটিকে সংরক্ষিত করার কাজ শুরুর আগেই ফের সেটি সমুদ্রের গর্ভে হারিয়ে যায়। অগত্যা তখন কিছুই করা যায়নি। এরপর নানা ঝড় হয়েছে। কিন্তু তার আর দেখা মেলেনি।
অবশেষে সেই কাজটা করে দিল টাইফুন কালমেগি। এর তীব্রতা এতটাই ছিল যে একে সুপার টাইফুন বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তার দাপটে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ফিলিপিন্স। কিন্তু ঝড় থামলে বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সের হোই আনা সমুদ্রতটে একটি দৃশ্য সকলের নজর কেড়ে নেয়।
দেখা যায় বালি সরে গিয়ে উঁকি দিয়েছে একটি বিশাল জাহাজের উপরের অংশ। কেবল উপরের অংশই দেখা যাচ্ছে। যেখানে কাঠের খাঁচার পর কাঠামোয় জল আটকে আছে। তবে জাহাজটির সিংহভাগ যে বালির তলায় রয়েছে তা পরিস্কার। কেবল দেখা যাচ্ছে একদম উপরের অংশের কাঠ।
জাহাজটির বয়স কত? বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার পর জানাচ্ছেন এটি আনুমানিক ১৪০০ থেকে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে সমুদ্রে যাতায়াত করত। যখন এই অঞ্চল সংলগ্ন সমুদ্র ছিল বাণিজ্যের রুট।
এই জাহাজটি যে কাঠ দিয়ে তৈরি তা অতুলনীয়। বিশেষজ্ঞেরাও এই কাঠের গুণমান দেখে অবাক হয়েছেন। এতদিন জলের তলায় থেকেও পুরো জাহাজটির কাঠামোই সুন্দরভাবে রয়েছে।
কাঠগুলির কোনও ক্ষতি তেমন হয়নি। জাহাজটি ৫৭ ফুট লম্বা। আপাতত সেটিকে সংরক্ষিত করাই লক্ষ্য সকলের। যাতে সেটি ২০২৩ সালের মত উঁকি দিয়েও আর জলের তলায় হারিয়ে যেতে না পারে।













