পৃথিবীকে পাক দেওয়া ১৬৬ জনের চিতাভষ্ম চিরতরে হারিয়ে গেল প্রশান্ত মহাসাগরে
চিতাভষ্ম সাধারণত নদী বা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তবে ১৬৬ জনের চিতাভষ্ম জলে নয়, গিয়েছিল মহাকাশে। কিন্তু মহাকাশে তার জায়গা হল না।

শেষকৃত্যের পর যে চিতাভষ্ম পড়ে থাকে তা সাধারণত সমুদ্র, নদী বা কোনও জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটি সংস্থা কেউ চাইলে তাঁর পরিজনের চিতাভষ্ম মহাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
এমন ১৬৬ জনের চিতাভষ্ম নিয়ে একটি জার্মান স্টার্টআপ সংস্থার উদ্যোগে নিক্স ক্যাপস্যুল মহাকাশে পাড়ি দেয়। সবই পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছিল। মিশন পসিবল নামে এই উদ্যোগে ক্যাপস্যুলটি মহাকাশে পৌঁছয় ১৬৬ জনের চিতাভষ্ম ও এক বস্তা গাঁজার বীজ নিয়ে।
নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশও করে। তারপর পাক খাওয়াও শুরু করে। কিন্তু ২ পাক খাওয়ার পরই কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই নিক্স ক্যাপস্যুলটি ১৬৬ জনের চিতাভষ্ম ও গাঁজার বীজ নিয়ে ফের পৃথিবীতে ফেরা শুরু করে।
প্রবল গতিতে সেটি পৃথিবীতে ফিরে আছড়ে পড়ে প্রশান্ত মহাসাগরের জলে। তারপর চিরতরে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে হারিয়ে যায়। মহাকাশে চিতাভষ্ম পাঠানো সংস্থা জানিয়েছে ওই ক্যাপস্যুল আর ফেরত পাওয়া যাবেনা। তা হারিয়ে গেছে চিরদিনের মত।
চিতাভষ্ম জলেই স্থান পায়। খুব অদ্ভুতভাবে তার মহাকাশে স্থান পাওয়া হল না। সেই জলেই স্থান হল তার। তবে কেন এই উদ্যোগ এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখছে সংস্থা।
যে সব পরিবার তাদের প্রিয়জনের চিতাভষ্ম মহাকাশে পাঠানোর জন্য এই উদ্যোগে শামিল হয়েছিল তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে উদ্যোগী সংস্থা ‘দ্যা এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি’। নিউ ইয়র্ক পোস্ট সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশিত হয়েছে।