National

একাই এক হাজার, শহরের বুকে অক্সিজেন ব্যাঙ্ক বাঁচাচ্ছে সকলের ফুসফুস

শহর ঘিঞ্জি হয়েছে ক্রমশ। মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু ফুসফুসের জন্য অক্সিজেন কি তাল মিলিয়ে বেড়েছে? এর উত্তরে একাই এক হাজার রেণুকা।

নগরায়ন হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে। রোজগারের অনেক উপায় তৈরি হয়েছে। উপার্জন করতে বহু মানুষ শহরে ছুটে আসেন। ফলে শহরের ভার বাড়ে। কিন্তু তাল মিলিয়ে অক্সিজেনের যোগান বাড়ে কি?

ফুসফুসের সংখ্যা বাড়লে তো পর্যাপ্ত অক্সিজেনও দরকার! কিন্তু সেসব কথা ভাবার সময় কোথায়! তাই একাই সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। সরকারের দেওয়া একটি বিশেষ দায়িত্ব নিয়েই তিনি শুরু করেন তাঁর মিশন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাসের একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরেই পড়েছিল ঝোপঝাড়ে ঢাকা অবহেলায় পড়ে থাকা জমি হয়ে। সেই ১ হাজার একরের ওপর জমির দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক টিজে রেণুকা প্রসাদ। একাই এই ১ হাজার একরের ওপর জমির ভোল বদলে ফেলা শুরু করেন। তাও আবার এমন কিছুই করেন যা ভারতে প্রথম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলায় পড়ে থাকা ১ হাজার একরের ওপর জমিকে তিনি একটি সুন্দর জঙ্গলে পরিণত করেছেন। সাজানো জঙ্গল। যেখানে এক একটা অংশের গাছের মেলা এক একটি কারণে তৈরি করা হয়েছে।

ভারতে এই প্রথম এমন ‘বায়ো, জিও, হাইড্রো পার্ক’ মাথা তুলে দাঁড়াল। বেঙ্গালুরু শহরের বুকে যে এমন একটা সবুজে ভরা জঙ্গল তৈরি হতে পারে তা অকল্পনীয়।

যা বেঙ্গালুরুর মত ঘিঞ্জি শহরকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিয়ে বাঁচাচ্ছে। শহরের মানুষের ফুসফুসগুলিকে রক্ষা করছে। অক্সিজেনর ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে রেণুকা প্রসাদের ২০ বছরের পরিশ্রমে।

এই জঙ্গলকে সাধারণ গাছে ভরা জঙ্গল ভাবলে ভুল হবে। জঙ্গল এখানে আলাদা আলাদা প্রয়োজনে বিভক্ত। কোথাও রয়েছে ওষধি গাছের ভিড়, কোথাও লুপ্তপ্রায় আম গাছের সারি, কোথাও সুগন্ধি ফুলের গাছে চারধার মম করছে, আবার কোথাও কয়েক হাজার ফলের গাছে ভরে আছে শতাধিক রকমের ফল।

জঙ্গলটি এতটাই সুপরিকল্পিত ও যত্নে থাকা যে এখানে এখন নানারকম পাখির কলরব সারাদিন গোটা পরিবেশটাকেই অন্যরকম করে রাখে। ঘিঞ্জি শহরের বুকে অরণ্যের প্রশান্তি দিচ্ছে এই হাজার একরের ওপর জঙ্গল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *