National

অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হওয়া ছাত্রীদের সামনে এবার অন্য সুযোগ

তাঁদের অন্তর্বাস পরীক্ষা হলের বাইরে খুলে রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। সেই ঘটনায় এবার অন্য সুযোগ তাঁদের সামনে এল।

গত মাসের ঘটনা। নিট পরীক্ষা দিতে আসা ১৭ বছরের ওপরের বয়সী ছাত্রীদের পরীক্ষার হলের সামনে আটকে দেওয়া হয়। জানানো হয় তাঁদের প্রায় সকলকেই অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে হবে।

আদপে অন্তর্বাসয়ে হুক থাকলেই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হচ্ছিল। যা তাঁদের জন্য এক দুঃস্বপ্নের মত সামনে আসে। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা ছাত্রীদের সাফ জানিয়ে দেন অন্তর্বাস না খুলে রাখলে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হবেনা।


ছাত্রীরা একাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের এও জানানো হয় যে তাঁদের কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিট পরীক্ষা নাকি অন্তর্বাস খুলে রাখা! অগত্যা পরীক্ষা দিতে অন্তর্বাস খোলার পথে হাঁটতে বাধ্য হন ছাত্রীরা।


টানা ৩ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়াই তাঁদের পরীক্ষা দিতে হয়। লজ্জা ঢাকতে তাঁরা অনেকেই তাঁদের লম্বা চুল সামনে টেনে নেন। এমনকি পরীক্ষার পর তাঁদের উলঢাল করে রাখা অন্তর্বাসগুলি থেকে নিজের নিজের অন্তর্বাস খুঁজে নিয়ে সেগুলি হাতে নিয়েই পরীক্ষা হল ছাড়তে বলা হয়।

কেরালায় ঘটা এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। ছাত্রীদের ৩ অভিভাবক অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে যে কলেজে এই ঘটনা ঘটে সেই কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল, যে ২ মহিলা সুরক্ষাকর্মী এই নির্দেশ দেন তাঁদের এবং এছাড়াও ছাত্রীদের অন্তর্বাস ছাড়ানোর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় অন্তর্বাস ছেড়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হওয়া ছাত্রীদের এবার ওই পরীক্ষা ফের একবার দেওয়ার সুযোগ দিল নিট পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা এনটিএ। তাঁদের যে মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তার প্রভাব পরীক্ষায় পড়ে থাকতে পারে এই দাবি ছিলই। তারই সুরাহা করল এনটিএ। যে ছাত্রীরা ফের পরীক্ষায় বসতে চান তাঁরা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ফের পরীক্ষা দিতে পারেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button