National

বাঙালি বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ের আসরে পৌঁছলেন কনে

বাঙালিদের বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে আসার রেওয়াজ নেই। কিন্তু এক বাঙালি বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ের আসরে পৌঁছলেন কনে। গাড়িতে এলেন বর।

আদ্যোপান্ত বাঙালি বিয়ে। বাঙালিদের বিয়েতে বরও ঘোড়ায় চড়ে আসেন না। কিন্তু এ বিয়েতে হল উলটপুরাণ। এখানে কনেই এলেন ঘোড়ায় চেপে। তাও আবার লেহেঙ্গায় সেজে। যা দেখে রীতিমত হৈচৈ পড়ে যায় পথচলতি মানুষের মধ্যেও।


কনে ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে চলেছেন তা যেন নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অনেকেই। তবে কনে অনুষ্কা গুহ-র মা সুস্মিতা গুহ জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তাঁর মেয়ে একটা প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই করতেন। কেন কেবল ছেলেরাই বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে যায়? কেন একটা মেয়ে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাবেনা?

তাঁকে প্রচলিত প্রথা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা রীতির কথা বলে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করা হলেও তাতে তাঁকে বোঝানো যেত না।



অবশেষে নিজের বিয়েতে সব রীতি ভেঙে কার্যত বিপ্লব আনলেন অনুষ্কা। বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছলেন ঘোড়ায় চেপে। সঙ্গে পরিবারের লোকজন নাচতে নাচতে গেলেন তাঁর সঙ্গে। যেমনটা সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

বিহারের পাটনার বাসিন্দা অনুষ্কা পেশায় বিমানসেবিকা। ইন্ডিগো সংস্থায় তিনি কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে কলকাতার ব্যবসায়ী জিৎ মুখোপাধ্যায়ের।

বিয়ের আসর বসেছিল পাটনাতেই। সেখানে কনে অনুষ্কা যখন ঘোড়ায় চড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে বিয়ে করতে গেলেন, তখন বর কিন্তু প্রথা মেনে বরের গাড়িতেই বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছন।

প্রায় সাদা লেহেঙ্গায় এক শ্বেতশুভ্র ঘোড়ায় চড়ে অনুষ্কা যখন হাসিমুখে চলেছেন বিয়ের মণ্ডপের দিকে তখন সেই শোভাযাত্রাতেই বরের গাড়িও পিছনে ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button