National

বালা সিনেমার কাহিনি কঠোর বাস্তব হয়ে সামনে এল

বালা সিনেমায় এমন এক ব্যক্তির কাহিনি উঠে আসে যাঁর মাথায় টাক ছিল। আর তাঁকে ঘিরেই তাঁর বিবাহ পরবর্তী বিভ্রাট। সেই কাহিনি যে সত্যিও হতে পারে তা প্রমাণ হয়ে গেল।

মুম্বই : সিনেমা মানেই গাঁজাখুরি গল্প। বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক থাকেনা। ওসব সিনেমাতেই হয়। অনেকেই এমন কথা বলে থাকেন। কিন্তু অনেক এমন সিনেমাও তৈরি হয় যার সঙ্গে বাস্তব মিলে যায় কাকতালীয়ভাবে। যেমনটা হল বালা সিনেমার কাহিনির সঙ্গে।

বালা সিনেমাটি তৈরিই হয়েছে এক মাথায় টাক থাকা যুবকের করুণ কাহিনি নিয়ে। টাক থাকার কথা যুবক তাঁর হবু স্ত্রীকে জানিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি আসার পরই নববধূ জানতে পারেন তাঁর স্বামীর মাথায় যৎসামান্য চুল রয়েছে। পুরোটাই প্রায় টাক। মাথায় পরচুল পড়ে যিনি কার্যত তাঁকে ধোঁকা দিয়েছেন। তারপরই যুবতী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান।

এটা তো ছিল সিনেমার কাহিনি। কল্পনার ওপর ভিত্তি করে লেখা। সেই কাহিনি যে এত দ্রুত বাস্তব হয়ে যাবে তা বোধহয় অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু সেটাই হয়েছে পুনেতে।

পুনের এক তরুণী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সোজা মামলা দায়ের করে দিয়েছেন। পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করে তিনি দাবি করেছেন যে তাঁকে অন্ধকারে রেখে তাঁর স্বামী তাঁকে বিয়ে করেন। তাঁর যে টাক রয়েছে তা তিনি গোপন করেছেন বিয়ের আগে।

পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মাথায় পরচুল পরে বিয়ে করতে আসেন। তার আগেও যুবতীকে বুঝতে দেওয়া হয়নি যে তাঁর হবু স্বামীর মাথায় চুল নেই। শ্বশুরবাড়ির কেউই এটা জানাননি তাঁকে।

ফলে তিনি পরচুলকেই স্বামীর আসল চুল বলে ভুল করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরদিনই তিনি জানতে পারেন যে তাঁর স্বামীর মাথায় টাক রয়েছে। তিনি পরচুল পরে তা ঢেকে রাখেন।

বিয়ে অবশ্য ২ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁকে এভাবে ঠকিয়ে বিয়ে করা হয়েছে বলে দাবি করে এখন আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন ২৭ বছরের ওই তরুণী। বিষয়টি রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *