World

ছাত্রদের কাছে মাইনে হিসাবে নারকেল নিচ্ছে কলেজ

অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক ছাত্রছাত্রী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়মত মাইনে দিয়ে উঠতে পারছেন না। একটি কলেজ এমন পড়ুয়াদের মাইনে হিসাবে নারকেল দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।

জাকার্তা : অতিমারি পরিস্থিতিতে আচমকাই অনেক পরিবারে অর্থনৈতিক দুরবস্থার কালো ছায়া নেমে এসেছে। কাজ হারিয়েছেন অনেকে। মাইনে অনেক জায়গায় বন্ধ হয়েছে। কোথাও বা অর্ধেক মাইনে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে আর্থিক দুরবস্থার শিকার হয়েছে অনেক পরিবার।

এমন অনেক পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা আর্থিক কারণে সমস্যার মুখে। অনেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনে সময়মত দিয়ে উঠতে পারছেন না। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াল বালির একটি কলেজ।

ভেনাস ওয়ান ট্যুরিজম অ্যাকাডেমি নামে ওই কলেজের কর্তৃপক্ষ মাইনে দিতে না পারা পড়ুয়াদের জন্য এক অভিনব দ্বিতীয় পথ বার করেছে। যে সব পড়ুয়া মাইনে দিতে পারছেন না তাঁদের তারা অন্য উপায়ে মাইনে মেটানোর সুযোগ দিচ্ছে।

অর্থের মাধ্যমে মাইনে মেটাতে না পারলে নারকেল দিয়ে তাঁরা মাইনে দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের বাড়ির আশপাশ থেকে নারকেল সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে কলেজে। তাঁদের আনা নারকেলের সংখ্যার ভিত্তিতে মিটে যাবে তাঁদের সেই মাসের মাইনে।

এমন এক অভিনয় উপায়ে মাইনে মেটানোর কথা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সংবাদপত্রের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ এত নারকেল নিয়ে করবেটা কী? এ প্রশ্ন স্বাভাবিক।

কলেজের তরফে সেটাও পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে তাদের একটি আলাদা উইং রয়েছে যেখানে তারা নারকেল তেল তৈরি করে।

নারকেল তেল উৎপাদন করতে গেলে তার জন্য অনেক নারকেলের দরকার। মাইনে স্বরূপ আসা এসব নারকেল সেখানেই তেল তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে।

যাঁরা নারকেল আনতে পারবেন না, তাঁরা কী করবেন? কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা রেখেছে। বালির ওই কলেজ জানাচ্ছে সেক্ষেত্রে ছাত্ররা মোরিঙ্গা বা গোটু কোলা পাতা সংগ্রহ করেও নিয়ে আসতে পারেন। তা দিয়েও মিটতে পারে মাইনে। কারণ এই সংস্থার একটি সাবান তৈরির উইংও রয়েছে।

তাছাড়া এই সাবান তৈরি হলে ছাত্ররা তা বিক্রি করেও রোজগার করতে পারেন। যা তাঁদের মধ্যে একটা ব্যবসার মানসিকতা তৈরি হবে। ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালি-র একটি কলেজের এই উদ্যোগ কিন্তু সর্বত্র তারিফ কুড়িয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *