Business

অতিমারির মধ্যেও বিক্রি হল ৭৫ হাজার টাকা কেজির চা

সারা বিশ্বজুড়েই চলছে অতিমারি পরিস্থিতি। দুর্বল হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক অবস্থা। তারমধ্যেই ভারতে ১ কেজি চা বিক্রি হল ৭৫ হাজার টাকা দরে।

গুয়াহাটি : অতিমারি পরিস্থিতি বিশ্বের অর্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে গিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছে। বহু মানুষ আর্থিক দুরবস্থার শিকার। অগুন্তি মানুষ কাজ হারিয়েছেন করোনার জেরে। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা অজানা। তবে আর্থিক পরিস্থিতির কঠিন হাল আরও কঠিন হচ্ছে দিনের পর দিন।


তারওপর এই পরিস্থিতিতে অতিদামি জিনিসপত্রের বিক্রি অনেক কমে গেছে। সামর্থ্য থাকলেও অনেকেই মানসিক দিক দিয়ে ভাল কিছু কেনার উৎসাহ পাচ্ছেন না। কিন্তু এ সবের মধ্যেও অসমে কেজি প্রতি চা বিক্রি হল ৭৫ হাজার টাকা দরে।

অসমের গুয়াহাটি টি অক্সান সেন্টারে বছরের বিভিন্ন সময়েই উৎপাদিত চায়ের নিলাম হয়। তা কিনে নেয় বিভিন্ন চা সংস্থা। সেখানেই এবার একটি চা কেজি প্রতি বিক্রি হল ৭৫ হাজার টাকায়! যা অনেককে তাজ্জব করে দিয়েছে।



মনোহারি গোল্ড স্পেশালিটি টি নামে এই চায়ের গত বছরও দাম নিলামে ভালই চড়েছিল। ৫০ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই বিশেষ ধরনের চা।

চায়ের দাম নির্ভর করে চায়ের রং, তার গন্ধ ও স্বাদের ওপর। এই মনোহারি গোল্ড স্পেশালিটি টি আগেও যে বাগানে উৎপাদিত হয়েছিল, এবারও সেই বাগানেই হয়েছে।

এবার নিলামে এই চা কেজি প্রতি ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেয় গুয়াহাটির চা সংস্থা বিষ্ণু টি কোম্পানি। কোম্পানি এই চা মূলত বিক্রি করে থাকে বিদেশের বাজারে।

অসমের এই বিশেষ ধরনের চা তারা বিক্রি করে তাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। মনোহারি টি এস্টেট এই চা তৈরি করে গত সেপ্টেম্বরে। তারপর উৎপাদন সম্পূর্ণ হলে তা নিলামে পাঠায় তারা।

কেজি প্রতি ৭৫ হাজার টাকা চায়ের দাম ওঠা অসমের এই গুয়াহাটি টি অক্সান সেন্টারে এই প্রথম নয়। গত বছরই এই দাম উঠেছিল একটি চায়ের। দিকাম টি এস্টেটে উৎপাদিত গোল্ডেন বাটারফ্লাই টি সেবার বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৭৫ হাজারেই। সেটাই এতদিন ছিল রেকর্ড। তাকে ছুঁয়ে ফেলল মনোহারি গোল্ড স্পেশালিটি টি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button