National

খাবার নেই, তাণ্ডব শুরু করেছে অযোধ্যার হাজার হাজার বাঁদর

এখানকার বাঁদররা বৃন্দাবনের বাঁদরদের মত অত আক্রমণ প্রিয় নয়

সারা বছরই অযোধ্যায় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাঁরা এখানে এলে কলা, পুরি, পাউরুটি বা অন্য কোনও খাবার, যা পান তা বাঁদরদের দিয়ে থাকেন। ফলে দিব্যি দিন চলে যায় বানরকুলের।

খাবার না দিলে আবার তাদের খাবার জোগাড়ের পদ্ধতি আছে। অযোধ্যায় বাঁদররা কেউ খাবার দিতে অস্বীকার করলে, তাঁর হাতে থাকা ব্যাগ বা চোখে থাকা চশমা বা রোদ চশমা খুলে চোখের নিমেষে পালায়। তবে নষ্ট করে না। শুধু এটা বুঝিয়ে দেয় খাবার দিলেই ফেরত পাবে নিজের জিনিস। ফলে খাবার দিয়ে নিজের জিনিস ফেরত নিতে হয় সকলকে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এটা তো নিত্য দিনের গল্প। এটার সঙ্গে অযোধ্যায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা পরিচিত। কিন্তু লকডাউনে সেই পর্যটকদেরই দেখা নেই। এমনটা তো কখনও হয়নি। তাই কখনও খাবারও কম পড়েনি এখানকার প্রায় ৭-৮ হাজার বাঁদরের।

এবার সেটাই হয়েছে। এই অবস্থায় তাদের খাবার দেবে কে! ফলে অনাহার পেয়ে বসেছে তাদের। না খেতে পেয়ে এবার তারা ক্ষেপে উঠেছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে অযোধ্যার বাসিন্দাদের।

অযোধ্যায় মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে ৩৯ জন বাঁদরের আঁচড়, কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন। যা কখনও অযোধ্যায় দেখা যায়নি।

এখানকার বাঁদররা বৃন্দাবনের বাঁদরদের মত অত আক্রমণ প্রিয় নয়। তারা চায় খাবার। আর সেটা এখন কিছুতেই না জোগাড় হওয়ায় তারা অনাহারে সমস্যায় পড়েছে। আর তার জেরে তারা মানুষকে আক্রমণ করে ফেলছে।

স্থানীয়রাই বলছেন এমন কাণ্ড করতে তাঁরা কখনও বাঁদরদের দেখেননি। এমন অবস্থা হয়েছে যে কাপড় শুকোতে দিতে ছাদে উঠলেও বাঁদরদের দলের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে অযোধ্যাবাসীকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *