National

পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাওয়ায় মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা

তার দোষ সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল ওই কিশোরী। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে বিয়ে করতে নারাজ। সে চায় পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে, জীবনে এগোতে। কিন্তু তার পরিবার তাতে কোনও ভাবেই রাজি নয়। কিশোরীটির বাবা ইতিমধ্যেই তার জন্য বিয়ের পাত্র খুঁজে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও কিন্তু মেয়ে বেঁকে বসে। বিয়ে করতে নারাজ সে। সে পড়াশোনা চালিয়ে যেত চায়। মেয়ের এই ‘স্পর্ধা’ মেনে নিতে পারেনি তার বাবা। মেয়েকে শাস্তি দিতে তাকে একেবারে ইহলোক থেকেই সরিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত করে সে। সঙ্গে নেয় ছেলেকে। ওই কিশোরীকে নিয়ে এরপর তার বাবা ও দাদা হাজির হয় একটি খালের ধারে। নির্জন স্থানে।

খালের ধারে দাঁড়িয়ে আচমকাই একটি কাপড় দিয়ে তাকে চেপে ধরে তার দাদা। আর তার বাবা পিছন থেকে ধারাল ছুরি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে মেয়েটি। প্রাণ ভিক্ষা চায় বাবা-দাদার কাছে। কিন্তু তারা তাকে পড়াশোনা করতে চাওয়ার শাস্তি দিয়েই ছাড়বে। কয়েকবার কোপানোর পর মেয়েটিকে খালের জলে ঠেলে ফেলে দেয় তার দাদা। কিন্তু জলে পড়ে কোনওক্রমে আহত অবস্থায় সাঁতরাতে থাকে সে। অবশেষে জল পার করে সে হাজির হয় তার জামাইবাবুর কাছে। একথা পুলিশের কাছে নিজেই জানিয়েছে ওই কিশোরী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতে এলাকা জুড়ে হৈহৈ পড়ে গেছে। মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে এই ঘটনা। মেয়ের পড়তে চাওয়াটা বাবার কাছে এতটা দোষের হল? এই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। আপাতত ওই কিশোরী তার দিদি-জামাইবাবুর কাছেই আছে। তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশকে সব কথা খুলে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও ওই কিশোরীর বাবা বা দাদাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *