National

বিয়ের আসরে আনন্দের গুলি কেড়ে নিল বরের প্রাণ!

বিয়েবাড়ি মানেই হৈচৈ, গল্পগুজব, নাচগান, আতসবাজির রোশনাইয়ে খুশির ফুলঝুরি। কারোর কাছে আবার অগ্নিস্ফুলিঙ্গের বন্যা না বইলে বিয়েবাড়ির মজা ঠিক জমে ওঠে না। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার সহ গোবলয়ের কয়েকটি রাজ্যে বন্দুক চালিয়ে বেলাগাম উল্লাসে মেতে ওঠেন বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষের পরিবারের লোকজন। দিনের পর দিন চলতে চলতে এটাই এখন কার্যত প্রথার আকার নিয়েছে। আর সেই প্রচলিত প্রথার ধাক্কায় নিমেষের মধ্যে বিয়েবাড়ি পরিণত হল শোকের বাড়িতে। শুকিয়ে গেল হাসি, হুল্লোড়। বিয়ে বাড়ি জুড়ে নেমে এল কান্নার রোল আর হাহাকার। বন্দুকের গুলি বুকে বিঁধে মণ্ডপেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক যুবক। সেই যুবক আর কেউ নন, বিয়ে করতে আসা বর সুনীল বর্মা।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার রামপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা রুবি নামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয় সীতাপুর মহকুমার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীলের। গত রবিবার রাতে রামপুর গ্রামে বিয়ের আসরে বিদায়ের আচার-অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন বর ও কনের বাড়ির লোকজন। চারদিকে তখন নাচ-গান চলছিল। সেই সময় আচমকা গুলি চলতে শুরু করে। আনন্দ করতে কেউ গুলি চালাচ্ছেন ভেবে কেউ আর গা করেননি। যার মাশুল দিতে হল হাতেনাতে। হঠাৎ করে একটি গুলি বরের বুকে বিঁধে যাওয়ায় মণ্ডপে লুটিয়ে পড়েন তিনি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিয়ের মণ্ডপে বরের মৃত্যুর ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে বিয়ের দিন গুলি চালনার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় যুবক রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, হুল্লোড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই বরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত। যদিও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পুলিশ পৌঁছতে পারেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *