![Mount Everest](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2019/05/mount-everest.jpg)
পাহাড়ের উঁচু অংশে দীর্ঘদিন থেকে যেতে পারেন। সেই উচ্চতাকে সহ্য করে নিতে পারেন এমন ১২ জন শেরপাকে বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল দল। তাদের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এভারেস্টে পাঠানো হয়। প্রথমে দলটি উঠে যায় এভারেস্টের একদম চুড়োয়। সেখান থেকে তারা সাফাই শুরু করে। তারপর সেখানে থেকে এভারেস্ট পরিস্কার করতে করতে জঞ্জাল নিয়ে তারা নিচে নামতে থাকে। শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন যে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে মোট ১১ টন জঞ্জাল মিলেছে। কী নেই তাতে! যত মানুষ এতদিন ধরে এভারেস্টে উঠেছেন তাঁরাই কিছু না কিছু ফেলে এসেছেন। এদিকে জঞ্জাল সাফাই করতে গিয়ে আরও ৪টি দেহও উদ্ধার করেছেন শেরপারা। এভারেস্টেই পড়ে ছিল দেহগুলি। এতদিন কারও নজরে পড়েনি।
তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারি ৬৬ বছর আগে এভারেস্টের শৃঙ্গ ছুঁয়ে আসেন। সেই প্রথম কেউ এভারেস্ট জয় করেছিলেন। তাঁরা তো ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেলেন আর পর্বতারোহীরা পেলেন সাহস। এভারেস্টের চুড়োতেও তাহলে পৌঁছনো যায়। এরপর ক্রমে এভারেস্টে চড়া একটা প্রবণতায় পৌঁছে গেছে পর্বতারোহীদের জন্য। বিভিন্ন দেশ থেকে এত মানুষ এখন এভারেস্টে চড়ছেন যে সেখানে ট্রাফিক জ্যাম লেগে যাচ্ছে।
৬৬ বছর আগে প্রথম এভারেস্টের চুড়ো ছোঁয় মানুষ। তারপর থেকে কত মানুষই তো এভারেস্ট জয় করেছেন। কিন্তু এই ৬৬ বছরে কখনও এভারেস্টের সাফাই হয়নি। দূর থেকে সাদা ধবধবে পর্বতশৃঙ্গে যাঁরা ওঠেন তাঁরা জানেন সেখানে পদে পদে ছড়িয়ে আছে ফেলে যাওয়া জঞ্জাল। ৬৬ বছর পর ২০১৯-এ প্রথম সেই জঞ্জাল সাফাই হল। ৬৬ বছরের জঞ্জাল। সেকি কম কথা! এদিকে নেপালের পাশাপাশি চিনের দিক থেকে এভারেস্টে ওঠার যে রুট রয়েছে, সেখানেও এই বছর একইভাবে জঞ্জাল সাফাই করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা