World

গাড়ির বনেট থেকে বেরিয়ে এল ১১ বছর পুরনো মানিব্যাগ, ভিতরে যা পাওয়া গেল

একটি গাড়ির গ্যারাজের মেকানিক খোঁজ পেলেন একটি মানিব্যাগের। মানিব্যাগে পাওয়া গেল অনেক কিছু। কার মানিব্যাগ তাও জানা গেল। আশ্চর্য প্রাপ্তির এক আজব কাহিনি।

সালটা ২০১৫, তিনি কাজ করছিলেন একটি গাড়ি সংস্থার কারখানায়। সেখানে তখন প্রায় ২০০টি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সবই তৈরি হচ্ছে। সেখানে কাজ করার সময় এক মেকানিকের বুক পকেটে থাকা মানিব্যাগটি আচমকা পড়ে যায়।

তিনি এরপর মানিব্যাগ না পেয়ে চারধারে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু সেটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি একা নন, কারখানায় থাকা তাঁর সব সহকর্মীই মানিব্যাগটি খোঁজার চেষ্টায় ২০০টি গাড়িই হাতরে ফেলেন। কিন্তু মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি।

এদিকে সেই গাড়িগুলির অন্য অনেক অংশের সংযুক্তির জন্য সেগুলিকে অন্য কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ফোর্ড সংস্থার সেই কারখানা ছিল আমেরিকার মিশিগানে।


মানিব্যাগ হারিয়ে ফোর্ড সংস্থার ওই কর্মী রিচার্ড গুইফোর্ড ভেঙে পড়েন। কারণ মানিব্যাগে ১৫ ডলার ছাড়াও ছিল তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং তাঁর সন্তানদের বড়দিনের উপহার দেওয়ার জন্য গিফট কার্ড।

তারপর সময় যেতে থাকে। সময়ের সঙ্গে ওই মানিব্যাগের কষ্ট ভুলেছেন গুইফোর্ড। এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। এরমধ্যে ওই সময় তৈরি গাড়িটি আসে মিনেসোটার একটি গ্যারাজে।

সেখানে গাড়িটির বনেটের তলায় থাকা এয়ার বক্সটি এক মেকানিক লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হচ্ছিলেন না। কিছু একটায় যেন আটকে যাচ্ছিল বক্সটি। সেটি বার করে তিনি ভাল করে দেখার চেষ্টা করেন কিসে আটকাচ্ছে।

আর তখনই অবাক হয়ে দেখেন একটি চামড়ার তৈরি মানিব্যাগ আটকে আছে সেখানে। বার করে দেখেন ভিতরে অনেক কিছু রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে গুইফোর্ডের ড্রাইভিং লাইসেন্সটাও।

ওই মেকানিক সোশ্যাল মিডিয়ায় গুইফোর্ডের খোঁজ শুরু করেন। পেয়েও যান তাঁকে। তারপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে দেন মানিব্যাগ। গুইফোর্ড তখন ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন। বৃদ্ধ অবশ্য ওই মানিব্যাগ ফিরে পেয়ে আপ্লুত।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *