Foodie

শীতে সারারাত খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয় দুধ, শীতের রাতই এই খাবারের প্রধান কারিগর

একটি খাবার তৈরির নানা প্রণালী হয়। এই অতি সুস্বাদু খাবারটির বিশেষত্ব হল এটি তৈরি করতে শীতকালে সারারাত খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয় দুধ।

একটা মন ভোলানো স্বাদে রসনা তৃপ্তির আশায় বহু মানুষ এখানে শীতকাল কবে আসবে তার অপেক্ষায় থাকেন। কারণ শীতের সারারাত দুধ খোলা আকাশের নিচে পড়ে না থাকলে এই খাবারটি তৈরিই হবেনা।

শীতের রাত হল এই রান্নার প্রধান কারিগর। তাই শীতকাল ছাড়া এ খাবার পাওয়া যায়না। আর শীত এলে এ খাবার বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারেননা বেনারসের মালাইও বিক্রেতারা। রেশমের মত কোমল মালাইও-র এমনই যাদু যে মুখে দিলেই তা নিমেষে মিলিয়ে যায়।

শীতের সময় মাত্র ৩ থেকে ৪ মাসই মানুষ এই প্রিয় মিষ্টিটি খেতে পারেন। তাই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এর স্বাদ গ্রহণ করতে বেনারসে ছুটে যান। মালাইও না খেলে নাকি বেনারসের মানুষের দিনই শুরু হয়না।

পেস্তা আর বাদামের মিশ্রণে তৈরি এই পদটি ঠান্ডার সময় শরীরে উষ্ণ অনুভূতির সৃষ্টি করে। এই সময় দ্বারিকাপুরের একটি দোকানের বাইরে মালাইও খাওয়ার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। ভারতের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন শুধুমাত্র মালাইও খাওয়ার আশায় এখানে আসেন।

মালাইও-র মূল আকর্ষণ লুকিয়ে রয়েছে তার প্রস্তুতি পদ্ধতিতে। এক মালাইও বিক্রেতা জানিয়েছেন এই মিষ্টিটি শীতেই তৈরি হওয়ার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। মালাইও বানানোর জন্য যে দুধ লাগে সেটা সারারাত খোলা আকাশের নিচে রেখে দেওয়া হয়।

সারারাত ধরে হিম পড়ার পর সেই ঠান্ডায় দুধটি বিশেষভাবে হিমশীতল হয়ে যায়। সকালে সেই দুধের সঙ্গে রাবড়ি, মালাই, কেশর আর এলাচ মিশিয়ে তৈরি করা হয় মালাইও।

সমস্ত উপকরণ একটি কাঠের লাঠি দিয়ে ভাল করে মেশানোর সময় মিশ্রণটি থেকে আরও মালাই বেরিয়ে এর সঙ্গে মিশে একে আরও মোলায়েম বানায়। শীতের রাতের হিমের পরশ না থাকলে এই খাবারটি তৈরিই হতনা। এটাই মালাইও তৈরির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *