ঐতিহাসিক মিলন, প্রাচীনতম শহরে একত্রিত ৫১ শক্তিপীঠ, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের সাধু পুরোহিত
এমন মিলনমঞ্চ আগে কেউ দেখেননি। যা দেখল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর। যেখানে হাজির হলেন ৫১ শক্তিপীঠ এবং ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের সাধু পুরোহিতরা।
৫১ শক্তিপীঠের কথা তো সকলের জানা। যার বেশ কয়েকটি রয়েছে কলকাতা সহ এই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। আবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাইরেও রয়েছে শক্তিপীঠ। যে তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা।
এই সব জায়গা থেকে শক্তিপীঠের পুরোহিত এবং সাধু সন্তরা হাজির হলেন ভারতের প্রাচীনতম শহরে। গঙ্গার পাড়ে এই শহর আজও মন্দিরের শহর বলেই পরিচিত। সেখানে শুধু শক্তিপীঠের সাধু পুরোহিতরাই নন, সেই সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের পুরোহিত ও সাধুরা।
বারাণসী শহরে এমন আয়োজন আগে কখনও হয়নি যেখানে ৫১টি শক্তিপীঠ এবং দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের সাধু পুরোহিতরা একত্রিত হলেন। নভেম্বর ৩০ ও ডিসেম্বর ১, এই ২ দিন ব্যাপী সম্মেলনে এভাবে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু সন্তদের এক ছাদের তলায় একত্রিত হওয়ার পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণও।
এখানে সকলে একসঙ্গে হয়ে ৫১টি শক্তিপীঠ এবং দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মন্দিরের নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। এইসব পবিত্র স্থানের সমস্যা দূর করতে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও সহমত হন।
সেন্টার ফর সনাতন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রাইডেন্ট সেবা সমিতি ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে বারাণসী শহরের রুদ্রাক্ষ কনভেনশন সেন্টারে হওয়া এই আয়োজন নিয়ে ২ দিন ধরে সেখানে সাজ সাজ রব।
যদিও তাল কেটেছে বারাণসী ক্যান্টনমেন্টে রাতে লাগা আগুন। তবে তার আঁচ বড় একটা লাগেনি সাধু সন্তদের এই পবিত্র সম্মেলনে। ৪০০ জন সাধু মহন্ত এই সম্মেলনে যোগদান করেছেন।
১০১ জন ব্রাহ্মণের মঙ্গলাচরণ-এর মধ্যে এই আলোচনা সভার শুরু এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি। তবে এমন আয়োজন কিন্তু ইতিহাস হয়ে রইল। যেখানে ৫১ শক্তিপীঠ, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের সাধু পুরোহিত একত্রিত হয়ে একসঙ্গে আলোচনায় যোগ দিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা