Kolkata

রাজ্যে ৯১ শতাংশ পার করল সুস্থতার হার

রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে ৯১ শতাংশ পার করল। তবে সংক্রমণও বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হল ৫৩ জনের।

কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন অবশ্য কমার দিকে।

গত একদিনে ৩ হাজার ৮২৩ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ১২৭টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৯৮ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৯২ জনে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। তবে গত বুধবার করোনায় মৃত্যু ৫০-র ঘর ছেড়ে নিচে নামে। যদিও ফের তা বেড়ে ৫০-এর ঘরে ফিরে এসেছে।

গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬১০ জন।

গত একদিনে যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন, মুর্শিদাবাদে ৩ জন এবং জলপাইগুড়িতে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৪৭৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৬ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে ৯১ শতাংশের ঘরে ঢুকে পড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯১.০৪ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *