Sports

হৃদরোগে আক্রান্ত কপিল দেবের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সফল

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন কপিল দেব। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির রাস্তায় হাঁটেন দিল্লির হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

নয়াদিল্লি : বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব। তাঁকে দ্রুত বাড়ি নিয়ে গিয়ে থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

দক্ষিণ দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা আর কোনও ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটেননি। দ্রুত কপিল দেবের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ব্যবস্থা করা হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর কপিল দেব এখন ভাল আছেন। তবে চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। ৬১ বছরের কপিল দেবের সুগারের সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সুগারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

সুগার আবার রক্তনালীতে ক্রমশ ক্যালসিয়াম জমা করতে থাকে। তাতে ক্রমশ রক্তনালী সরু হতে থাকে। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয়। যা হৃদরোগের একটা কারণ হয়ে সামনে আসে।

চিকিৎসকেরা কপিল দেবের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করেই করেন। সফল হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হলে আর কোনও সমস্যা না থাকলে রোগীকে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কপিল দেবকে অবশ্য কবে ছাড়া হবে তা পরিস্কার করে জানানো হয়নি। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। কপিল দেবের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব থেকেই বার্তা এসেছে।

১৯৮৩ সালে ভারতকে ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে তাঁর অধিনায়কত্বের একটা বড় ভূমিকা ছিল। ভূমিকা ছিল তাঁর ব্যাট ও বলের। একটা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক ছিলেন কপিল দেব। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৪৩৪টি উইকেট।

১৯৯৪ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান কপিল দেব। অবসর গ্রহণ করেন। এখনও তাঁকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর মত একজন কিংবদন্তী ক্রিকেটারের কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য এখনও ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকেন।

সেই কপিল দেব খেলার পাশাপাশি হৃদরোগকে হারিয়ে এখন সুস্থ হওয়ার পথে। ফের একটা বড় ইনিংস জিতে নিলেন তিনি। আপাতত তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *