Health

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দরজায় দরজায় কড়া নাড়বে সরকার

গত ২ বছরে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রও তার বাইরে নয়। এবার তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এক বিশেষ লক্ষ্যে দরজায় দরজায় কড়া নাড়তে চলেছে সরকার।

২০২০ সাল থেকে করোনার বাড়বাড়ন্ত পৃথিবী থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার লড়াইকে জোর ধাক্কা দিয়েছে। যক্ষ্মা হয়েছে কিনা তা জানার জন্যে যুদ্ধকালীন ভাবে এবার কাজ শুরু করছে কেন্দ্র। এই উদ্যোগের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা।

যক্ষ্মা রোগীদের সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২৪ মার্চ থেকে। এই কর্মসূচি চলবে পরবর্তী ২ থেকে ৩ সপ্তাহ।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

স্বাস্থ্যকর্মীরা এই সময়টায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা চালাবেন। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে বুকে ব্যথা থেকে শুরু করে ওজন হ্রাসের মত প্রভাব শরীরে দেখা দেয়।

যক্ষ্মা হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতে ট্রুন্যাট নামে একটি পোর্টেবল এবং ব্যাটারি পরিচালিত মেশিন দিয়ে পরীক্ষার কাজ চালানো হবে। এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে গোয়ার একটি সংস্থা।

সারা পৃথিবীতে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। গোটা বিশ্বে যত সংখ্যক মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন তার ৩০ শতাংশের বেশি ভারতের বাসিন্দা।

২০২০ সালে করোনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতেও হামলা চালানোয় দেশে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তকরণের কাজ জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল গত ২ বছরে বিভিন্ন সময়ে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া জনজীবন।

করোনার জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৮ থেকে ৯ মাস ভারতে যক্ষ্মা সনাক্তকরণ কর্মসূচি বিপর্যস্ত হওয়ায় সনাক্তকরণের হার শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছিল। ভারতে যক্ষ্মা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *