গহন জঙ্গলে কোটি কোটি মশা ছেড়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা, কেন এমন কাণ্ড
এক দ্বীপপুঞ্জের জঙ্গলে কোটি কোটি মশা ছেড়ে দেওয়া হল। ড্রোনে করে নিয়ে গিয়ে মশা ছেড়ে দেওয়া হল জঙ্গলে। অসংখ্য মশা ছাড়লে জঙ্গলের কি উপকার হবে।

ম্যালেরিয়া ছড়ানো মশার সংখ্যা বেড়েছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই। এই দ্বীপপুঞ্জে আগে মশা ছিলনা। একবার এক জাহাজ এখানে আসার পর থেকে এখানে মশা ছড়ায়। ওই জাহাজেই মশা ছিল। যা এই দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে পড়ে। তারপর বংশবৃদ্ধি করতেই থাকে।
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পাখির অভাব নেই। নানা রংবাহারি, সুর তোলা পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায় সমুদ্রের মাঝে সবুজ দ্বীপগুলোর গহন জঙ্গলে। এদের মধ্যে আবার হানিক্রিপার পাখিগুলির সুরের যাদু মুগ্ধ করে।
সেই হানিক্রিপার পাখিরা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে হাওয়াই থেকে। তাদের বেশ কয়েকটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকিরাও এখন লুপ্তপ্রায়। যে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে হানিক্রিপার গুনে শেষ করা যেত না, তারা এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কেন? কারণ ম্যালেরিয়া।
এখানে জঙ্গলে থাকা প্রচুর ম্যালেরিয়ার জীবাণু বাহক মশার কারণে এই পাখিরা হারিয়ে যাচ্ছে। তাহলে উপায়? শুধু হানিক্রিপার বলেই নয়, সবধরনের পাখিদের বাঁচাতে তাই এবার বিজ্ঞানীরা একটি উপায়ের হাত ধরলেন। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়া ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশাদের শেষ করতে এবার প্রায় ৪ কোটি মশা ছাড়লেন তাঁরা।
মশা মারতে মশা! একটু অবাক শোনালেও বিজ্ঞানীরা যে মশা ড্রোনে করে নিয়ে গিয়ে হাওয়াইয়ের গহন জঙ্গলগুলিতে ছেড়েছেন সেগুলি সবই পুরুষ মশা। আর তাদের দেহে এমন একধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা মশাদের প্রজননই হতে দেবেনা।
ফলে মশা কমতে থাকবে। আর তা যদি হয় তাহলে হাওয়াইয়ে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার সংখ্যা কমে যাবে। রক্ষা পাবে অন্য পাখিরা। হাওয়াইয়ের জঙ্গলে ঠিক এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই ৪ কোটি মশা ছাড়া কতটা ফলপ্রসূ হয় তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।