State

একের পর এক প্রাণ কাড়ল আম্ফান

এখনও অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।

কলকাতা : এই প্রলয়ঙ্করী ঝড় যে মানুষের প্রাণ কাড়বে তা কাঙ্ক্ষিত না হলেও অনুমেয় ছিল। যেখানে কংক্রিটের বাড়ির সব দরজা জানালা বন্ধ করে শহুরে মানুষ ইষ্টনাম জপ করেছেন, সেখানে যাঁরা দুই ২৪ পরগনা বা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন তাঁদের পরিস্থিতি কী ছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে যাঁরা কাঁচা বাড়ি বা অস্থায়ী ঘরে থাকেন তাঁদের জন্য খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি। পুরো পরিস্থিতির চিত্রটা কী তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বা গাছ পড়ে।

শ্রীরামপুর থেকে ব্যারাকপুর, বজবজ থেকে নদিয়া, চুঁচুড়া থেকে কাকদ্বীপ, বেলুড় থেকে বেহালা। কোথাও গাছ পড়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোথাও দেওয়াল ধসে তার তলায় চাপা পড়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোথাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন মানুষজন। পাথরপ্রতিমায় এক শিশুর মৃত্যু হয় টিনের ভাঙা চালা লেগে। মুখ্যমন্ত্রী গত বুধবার ঝড় কলকাতা পার করার পর নবান্নে বসে প্রাথমিক রিপোর্টেই জানিয়েছিলেন ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা কেবল বাড়তে থেকেছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দুই ২৪ পরগনার কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। কত ক্ষয়ক্ষতি তা কিছুই পরিস্কার নয়। প্রশাসন দ্রুত কাজে নেমেছে। চলছে উদ্ধারকাজ। ঝড় আসার আগেই প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছিল প্রশাসন। নাহলে হয়তো মৃতের সংখ্যাটা আরও ভয়াবহ হতে পারত। উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসেও অনেক জায়গায় জল ঢুকে গেছে। তবে অনেক প্রত্যন্ত এলাকাতেই এখনও উদ্ধারকাজ পুরোদমে শুরু করা সম্ভব হয়নি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *