State

অর্জুন দাপটে ঝরল মুকুল, নোয়াপাড়ায় তৃণমূলের বড় জয়

মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর এলাকা লাগোয়া নোয়াপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর দিক থেকে ভোটে ভেল্কি আশা করেছিলেন বিজেপির একাংশ। আশায় ছিলেন নিশ্চয়ই মুকুল ম্যাজিক কিছু ঘটবে। অন্যদিকে নোয়াপাড়া থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর ছিলেন অর্জুন সিং। সবমিলিয়ে টানটান লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন সবাই। কিন্তু এদিন গণনা শুরু হতেই ট্রেন্ড পরিস্কার হয়ে যায়। তরতরিয়ে বাড়তে থাকে ব্যবধান। এগোতে থাকেন তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ সুনীল সিং। শেষ পর্যন্ত ৬৩ হাজারের বেশি ভোটে দুরন্ত জয় পেল তৃণমূল। সবুজ আবিরে ঢাকা পড়ল রাজপথ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন অর্জুন সিং।


নোয়াপাড়ায় ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মঞ্জু বসুর নাম বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মধ্যস্থতার পর মঞ্জু বসু বেঁকে বসেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যান মুকুল রায়। অবশেষে সেখানে প্রার্থী বদল করতে বাধ্য হয় বিজেপি। মঞ্জু বসুর পিছুহাঁটার ফলে আদপে মুকুল রায়ের তুরুপের তাস কেড়ে নেয় তৃণমূল। সেইসঙ্গে অর্জুন সিংয়ের হুংকার, তিনি তৃণমূলকে জেতাবেনই। সেই প্রেস্টিজ ফাইটে কিন্তু অবশেষে মুখ পুড় মুকুল রায়েরই। শুধু বাইরে বা এলাকায় নয়, খোদ বিজেপিতেও।

এই কেন্দ্র কিন্তু ২০১৬ সালে তৃণমূল ঝড়েও দখল করেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। জিতেছিলেন মধুসূদন ঘোষ। তাও আবার কাকে হারিয়ে? সেই মঞ্জু বসুকে। যিনি তার আগে দুবার ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে এদিন ভোটগণনার পর সেই কংগ্রেসের এদিন জামানত জব্দ হল। দ্বিতীয় স্থান পেল বিজেপি।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button