Health

করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে আশাবাদী হয়ে লাভ নেই, বুঝিয়ে দিল হু

করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে। অনেকগুলি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। সকলেই আশায় টিকা এই বছরের শেষেই হাতে আসবে। কিন্তু অন্য কথা বলছে হু।

জেনেভা : করোনার সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববাসী। শুধু একটাই আশায় ভর করে। করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হচ্ছে। ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো খুব বেশি দেরি হলে আগামী বছরের শুরুতে এসে যাবে। তখন তাঁরা টিকা পেয়ে যাবেন। মুক্তি মিলবে করোনা আতঙ্ক থেকে।

বেশ কয়েকটি টিকা তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন দেশে করোনা টিকা সামনের বছরের শুরুতে পাওয়া যাবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাশিয়া তাদের টিকা এনেই প্রায় ফেলেছে। আমেরিকাও এনে ফেলছে বলে জানিয়েছে। ভারতের কোভ্যাক্সিন ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে অক্সফোর্ড-এর টিকাও।

সকলের দাবি হয় এই বছরের শেষ অথবা সামনের বছরের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে তারা টিকা এনে ফেলবে সাধারণের জন্য। এমন নানা খবর যতই সামনে আসছে মানুষের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার উৎসাহ ফের কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে।

ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক থেকে বার্তা সকলের বুক ভরা আশায় জল ঢেলে দিল।

হু-এর প্রধান জানিয়েছেন বিশ্বে এখন যে কটি করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে তার কোনও একটিও যে কার্যকরী প্রমাণিত হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।

হু জানাচ্ছে এখন বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০০টি টিকা তার ট্রায়াল বা ট্রায়ালের আগের পর্যায়ে রয়েছে। যত বেশি মানুষের দেহে প্রয়োগ করে ট্রায়ালে কার্যকারিতা পরীক্ষা হবে ততই জানা যাবে কোনটা কতটা কার্যকরী।

হু এর মধ্যে ২টি সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কোভ্যাক্স নামে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে হু চেষ্টা করছে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরিতে তাদের তরফ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।

যদি আদৌ কোনও টিকা কার্যকরী প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি যাতে বিশ্বের সব দেশ সমানভাবে পেতে পারে তাও দেখছে এই যৌথ প্রকল্প।

হু জানিয়েছে, যদি এই অতিমারিকে শেষ করতে হয় তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের কিছু মানুষ অন্তত যেন এই টিকা পান।

এটা নয় যে একটা দেশের সব মানুষ টিকা পেলেন, আর অন্য দেশের কেউ পেলেননা। তাতে অতিমারি শেষ হবে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *