State

কুশমাণ্ডির পর ক্যানিং, এবার আদিম লালসার শিকার কিশোরী

গত রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমাণ্ডিতে উদ্ধার হয় এক তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ। ঝোপের ভিতর থেকে তাঁর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত শরীরটাকে টেনে বার করে এনেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নির্যাতিতা তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন। কুশমাণ্ডি গণধর্ষণের সেই রেশ এখনও কাটেনি। তার আগে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রামে। কুশমাণ্ডির নির্যাতিতার থেকে ক্যানিংয়ের নির্যাতিতার পার্থক্য শুধু দুজায়গায়। গণধর্ষণ নয়। প্রতিবেশি যুবকের লালসার শিকার হতে হয়েছে ক্যানিংয়ের নিগৃহীতাকে। আর ধর্ষণের পর তার শরীরের ভিতরের অন্ত্রও টেনে বাইরে বার করে আনেনি ধর্ষক।

অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফাঁকা বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় তারই প্রতিবেশি এক যুবক। শচীন নামে ওই যুবক বাড়ির পাশে বাগানে ধর্ষণ করে কিশোরীকে। কুকীর্তির পর অভিযুক্ত যুবক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। ওইদিনই কিশোরীর ধর্ষণের কথা জানতে পারেন তার বাড়ির লোক। কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকাতেও জানাজানি হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, পরে এলাকায় ফিরে আসা যুবক নির্যাতিতার পরিবারের সাথে আপোষ করার চেষ্টা করে। টাকা দিয়ে সে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় কিশোরীর পরিবারকে। থানায় অভিযোগ করলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি কিশোরীর পরিজনদের। এরপরেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে কিশোরীর পরিবার গত বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শচীন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *