State

ছাত্র সংসদের মহিলা সদস্যকে ব্যাপক মারধর, অভিযুক্ত জিএস, রিপোর্ট চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

রিষড়ার বিধানচন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদ এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে। সেই ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক এক ছাত্রী। তাঁকে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করে হুলুস্থুলু ফেলে দিলেন ওই ছাত্রী। বিষয়টি গড়াল শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত। একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। গত ৪ ডিসেম্বরের ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ছাত্র সংসদের জিএস শাহিদ হাসানের হাতে বেধড়ক মার খাচ্ছেন ওই তরুণী। কখনও চড়, কখনও ঘাড় ধাক্কা বা কখনও অস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে তাঁকে নিগৃহীত করা হচ্ছে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে একবার নয় একাধিকবার এভাবে মারধর করা হয়েছে। শাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছেন ওই টিএমসিপি কর্মী। তাঁর আরও অভিযোগ, ওদিন ইউনিয়ন রুমে তাঁকে শুধু মারধরই করা হয়নি, তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও হয়। এমনকি তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের জন্যও চাপ দেওয়া হত বলে অভিযুক্ত জিএসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।

এদিকে সংবাদমাধ্যমে বারবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ছবি ফুটে ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। যদিও পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাহিদ হাসান। বরং তাঁর দাবি, মারধর নয়, তিনি ধাক্কা মারেন ওই তরুণীকে। ওই তরুণী মদ্যপান করে কলেজে ঢুকেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *