State

৩ দলকে ফেরাল পুলিশ, গ্রেফতার রূপা-লকেট, কাল বিজেপির ধিক্কার মিছিল

গত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী সব বিরোধী দলের কাছে বসিরহাটে না ঢোকার আবেদন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন ওখানকার পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও দলের নেতানেত্রীর সেখানে ঢোকা ঠিক হবে না। তাতে অবস্থা ফের ঘোরাল হতে পারে। পরে এদিন সকালে সেই একই কথা ৩ বিরোধী দলনেতাকে ফোন করে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বা পার্থবাবুর সেই আবেদন কানে না তুলে শুক্রবার সকালে রাজ্যর ৩ বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি পৃথক পৃথক প্রতিনিধিদল নিয়ে বসিরহাটের দিকে রওনা দেয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে বারাসতে আটকায় পুলিশ। কেন তাঁদের বসিরহাটে ঢুকতে দেওয়া হবে না তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা চলে। পরে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ফিরে যান। বামেদের ২টি দল এদিন বসিরহাটের দিকে রওনা দেয়। ২টি দলের একটিকে অশোকনগরে ও অন্যটিকে দেগঙ্গায় দাঁড় করিয়ে দেয় পুলিশ। ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যদের দাবি ছিল তাঁরা শান্তির বার্তা নিয়ে বসিরহাটে যেতে চান। কিন্তু তাঁদের এগোতে দেওয়া হয়নি। ফলে বামেরাও সেখান থেকেই ফিরতে বাধ্য হন। বিজেপি-র প্রতিনিধিদলে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমিক ভট্টাচার্য, জয়প্রকাশ মজুমদারের মত নেতানেত্রীরা। বিরাটির মাইকেলনগরের কাছে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে আটকায় পুলিশ। তাঁদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু সেকথায় কান না দিয়ে জোর করে এগোনোর চেষ্টা করলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদারদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে বসিরহাটে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে যেতে না দেওয়ায় আগামী শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধিক্কার মিছিল বার করতে চলেছে বিজেপি। পরে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেবে বিজেপি প্রতিনিধিদল। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাগু করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির অনুরোধও করবে তারা।

 


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *