State

প্রতিবেশিদের প্রতিবাদে ৭ ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে রইল মহিলার দেহ

৭ ঘণ্টা রাস্তাতেই পড়ে রইল মহিলার দেহ। তাঁর দেহ তাঁরই বাড়িতে ঢোকাতে দিলেন না প্রতিবেশিরা।

কলকাতা : গত ১৭ জুন হাওড়ার বালির হপ্তা বাজার এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা এক তরুণের করোনা ধরা পড়ে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ছেলের জন্য চিন্তায় সেই হাসপাতালেই পড়েছিলেন তরুণের মা। ১৯ জুন তিনি ফের বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ঘুসুরির একটি নার্সিংহোমে যান তাঁর স্বামী।

৫৩ বছরের ওই মহিলাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অগত্যা স্ত্রীর দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁর স্বামী। এদিকে ছেলে তখন হাসপাতালে কোভিড নিয়ে ভর্তি। এমন এক দিশেহারা অবস্থায় অন্ত্যেষ্টির আগে স্ত্রীর দেহ ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে গিয়ে বাধা পান স্বামী। আবাসনের অন্য বাসিন্দারা তাঁর পথ আটকান। ওই মহিলার করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কায় তাঁরা দেহ আবাসনে ঢোকাতে দেননি।

প্রতিবেশিদের প্রতিরোধের মুখে আর কিছু না করতে পেরে আবাসনের সামনে রাস্তার ওপর স্ত্রীর দেহ রেখে তাঁর অন্ত্যেষ্টির বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন স্বামী। এদিকে ওই মহিলার দেহ ওভাবেই রাস্তায় পড়ে থাকে। এমন করে প্রায় ৭ ঘণ্টা কেটে যায়। এরপর স্থানীয় মানুষজন পুলিশ ও পুরসভায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনও পরিস্কার নয় যে ওই মহিলার করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে কিনা। তবে তাঁর সৎকার একটি কোভিড শ্মশানেই হবে বলে জানা যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button