State

চোর-পুলিশ খেলে ৪ দিন পর ফের খাঁচায় শচীন

চোখে, মাথায় কিছুটা চোট রয়েছে। দেখে বোঝা গেছে খুব দুর্বল। বন্যপ্রাণির স্বভাবসিদ্ধতা তার মধ্যে তৈরি হয়নি। চিরদিন মুখে কাছেই এসেছে সময়ে সময়ে খাবার। ফলে কোনও ক্ষিপ্র প্রাণির পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে খাওয়ার তালিম সে পায়নি। বনকর্মীদের এখানেই ছিল ভরসার জায়গা। শুধু তাই তাঁরা নজর রাখছিলেন সাফারি পার্কের বাইরে না বেরিয়ে যায় এনক্লোজার থেকে পলাতক চিতাবাঘ শচীন। সেই শচীন ছিল পার্কের মধ্যেই। তাকে পাকড়াও করতে পাতা হয়েছিল ১০টি খাঁচা। চলছিল কুনকি হাতে নিয়ে তল্লাশি।

অবশেষে ৪ দিন বনকর্মীদের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলে দুর্বল শরীরে নিজেই সে ফিরে এল ঘরে। শুক্রবার নিজের এনক্লোজারে নিজেই ফিরে আসে শচীন। আপাতত খাবার দাবার পেয়ে ধরে প্রাণ ফিরে পেয়েছে শচীন। তার ক্ষতের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। যে চিতা সংরক্ষণ কেন্দ্রে জন্ম নিয়ে সাফারি পার্কে বড় হয়েছে, তার পক্ষে যে বন্য জীবনের রীতি মেনে খাবার সংগ্রহ সম্ভব নয় তা ফের একবার প্রমাণ হল। কারণ বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন খাবার পেয়ে গেলে সে এত সহজে ফিরে আসত না।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *