
রাজ্য বিধানসভার প্রথম দফার দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণে অনেক জায়গায় অশান্তি ছড়াল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন ৩১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। যারমধ্যে বর্ধমানের ৯টি, বাঁকুড়ার ৯টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩টি আসন রয়েছে। এদিন কেশপুরে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ভোট চলাকালীন সংঘর্ষ শুরু হয়। গরগজপোতা এলাকায় হওয়া এই সংঘর্ষে দুপক্ষের ছজন আহত হন। কেশপুরে বোমাবাজিরও খবর মিলেছে। দূর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বাইক বাহিনী নিয়ে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। ভোটারদের ভয় দেখানোরও অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দূর্গাপুরে সিপিএম ও কংগ্রেস এজেন্টদের মারধরের অভযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির শাসক দলের দিকে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে ভোটারদের লাইনে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রেও অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল। ঘটালে ইভিএম মেশিনে তৃণমূলের বোতামের পাশে কালি লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠার পর সব প্রার্থীর বোতামের পাশেই কালি লাগিয়ে সমস্যা মেটান প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধী দলের এজেন্টদের মারধর উথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। রাণীগঞ্জ কেন্দ্রের একটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নারগিস বানুর স্বামী সোহরাব আলিকে বুথের ভেতর ঢুকে ভোট তদারকি করতে দেখা যায়। বুথের ভেতর তখন নারগিস নিজেও উপস্থিত। প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর স্বামীও কী করে বুথের ভেতর গেলেন তা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিরোধীরা। অভিযোগ পেয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় কমিশন।