World

১০০ বছর ধরে ইতিহাস আঁকড়ে একা দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ভুতুড়ে শহর

একটা শহরে যা থাকা দরকার তার সবই রয়েছে। নেই কেবল মানুষ। এ ভূতুড়ে শহরে মানুষ থাকেনা। তবে শহর দেখতে বহু পর্যটক আজও ভিড় করেন।

একটি বেশ বড় মাপের শহর। যেখানে রয়েছে কিছু সরু রাস্তা। রয়েছে একটি অভিজাত বিদ্যালয়। সেখানেই একটি খাড়া উপত্যকার ২ পাশে দেখা যায় সারিবদ্ধ বাড়িঘর। আর শহরের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি প্রাচীন ঝর্ণা। সঙ্গে গির্জা ও পাহাড়।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এমন সুন্দর জায়গাটিই বর্তমানে এক ভূতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে এখানে কোনও মানুষ বসবাস করেনা। তার আগে কিন্তু এটি একটি ব্যস্ত শহর ছিল। অন্তত ১০ হাজার মানুষ সেখানে বসবাস করতেন। তাঁদের অনেকেই ছিলেন হস্তশিল্পী।

তুরস্কের মুগলা প্রদেশের ছোট পাহাড়ি শহর কায়াকোয়। ১৯২২ সালে গ্রিক এবং তুর্কিদের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হয়। এরপর তুরস্কের কায়াকোয়ে শহরের বাসিন্দারা চলে যান গ্রিসে। আর গ্রিসের লোকদের যেতে হয় কায়াকোয় শহরে।

গ্রিসের বাসিন্দারা কায়াকোয় শহরে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারেননি। তাঁরা সেখানে থাকতে অস্বীকার করেন। তাঁরা দলে দলে ওই শহর ছেড়ে চলে যান। ফলে শহরটি জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। অবহেলিত শহরটি দিনে দিনে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে বসবাসযোগ্য সবরকম সুবিধা থাকা সত্ত্বেও একটা গোটা শহর এভাবে ফাঁকা হয়ে যায়। পরবর্তীকালেও সেভাবে আর এখানে কোনও মানুষ নতুন করে এসে বসবাস করতে শুরু করেননি।

সংখ্যায় খুব কম হলেও এখনও কিছু মানুষ কায়াকোয় শহরে রয়ে গেছেন। একসময় যে অট্টালিকাগুলি এখানকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত, কালের নিয়মে এখন সেগুলি পরিত্যক্ত। তবে জায়গাটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালে পরিস্কার আকাশ এবং শীতে কুয়াশায় ঢাকা পাহাড় এর প্রধান আকর্ষণ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *