World

জলের তলায় ২৩ সেকেন্ড ছিল ভয়ের সিনেমার চেয়েও ভয়ের

ওই ২৩ সেকেন্ড যে কীভাবে তাঁদের সঙ্গে কেটেছে তা ভেবেও বহু মানুষ শিউরে উঠছেন। সে ছিল ভয়ের সিনেমার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ের।

টাইটানিক দেখাতে ৫ ধনী মানুষকে নিয়ে জলের তলায় নেমেছিল ডুবোজাহাজ টাইটান। ১৮ জুন আটলান্টিক মহাসাগরের তলায় নামার দেড় ঘণ্টার মধ্যে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর সেটি ঠিক কী অবস্থার মধ্যে পড়েছিল তা অজানা।

তবে তার ধ্বংসাবশেষ পরে উদ্ধার হয়েছে। যদিও ৫ জনের কোনও হদিশ মেলেনি। মনে করা হচ্ছে যে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁদের দেহ। এক ভয়ংকর মৃত্যু হয় তাঁদের।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই ঘটনার পর স্পেনের এক ইঞ্জিনিয়ার এবং জলের তলার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জোস মারতি সবকিছু খতিয়ে দেখার পর সেই পরিণতির একটি ধারনা দিতে পেরেছেন। আর তা ভয়ংকরের চেয়েও হয়তো ভয়ংকর।

মারতির মতে, যানটি ৫ অতি ধনী মানুষকে নিয়ে জলের তলায় সাড়ে ৫ হাজার ফুট পর্যন্ত নিশ্চিন্তেই নেমেছিল। তারপরও টাইটানিক পর্যন্ত পৌঁছতে তাদের নামতে হত।

যানটি তারপর নামার সময় আচমকাই কোনও বৈদ্যুতিন সমস্যায় পড়ে। তার একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। প্রপেলার ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়।

এই অবস্থায় যানটি মুখ ঘুরিয়ে নিচের দিকে এবার নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় নামতে থাকে। এভাবে সেটি যখন নামছিল তখন তা গোঁত্তা মারার মত মুখ নিচের দিকে করে নামতে থাকে।

এই সময় ওই ৫ জন একজন অপরজনের ওপর পড়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ একজন অপর জনের ওপর ছিলেন। সে এক ভয়ংকর অবস্থা।

যানটি একটা পর্যায়ে নামার পর কোটি কোটি গ্যালন জলের প্রবল চাপে হঠাৎ দলা পাকিয়ে যায়। তারপর বিস্ফোরণ হয়। এই পুরো ঘটনা ঘটে শেষের ৪৮ থেকে ৭১ সেকেন্ডের মধ্যে।

এই ২৩ সেকেন্ড কিন্তু ওই ৫ জন কি হতে চলেছে তা বুঝতে পারছিলেন। মৃত্যুকে সামনে দেখতে পাচ্ছিলেন। শুধু অপেক্ষায় ছিলেন কতক্ষণ! কিছুই করারও ছিলনা। একটা আবদ্ধ জায়গায় দুমড়ে দলা পাকিয়ে যেতে থাকে যানটি। তারপর সব শেষ।

এই ভয়ংকর পরিণতির চিত্র কাল্পনিক হলেও এটাই হয়েছে বলে মনে করছেন ওই স্পেনের ইঞ্জিনিয়ার। আর তা বিশেষজ্ঞেরাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *