পর্যটক কমানোর দাবিতে পথে নেমেছিলেন শহরবাসী, তারপরই বেড়ে গেল পর্যটক
যত পর্যটক আসছিলেন তার চেয়েও সংখ্যাটা বেড়ে গেল। বাড়ল তখন যার আগেই শহরবাসী পর্যটকের শহরে আসা কমানোর দাবিতে পথে নেমেছিলেন।
এ যেন শহরবাসীকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। পর্যটকরা শহরে এলে তা আপাত দৃষ্টিতে শহরের অর্থনীতি, সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য উপকারি হয়। কিন্তু এ শহরের মানুষ পর্যটকের ভিড়ে এতটাই জেরবার যে তাঁরা আর পর্যটক শহরে প্রবেশ করতে থাকুন চাইছেন না।
শহরে পর্যটকের আনাগোনা কমানোর দাবিতে রীতিমত পথেও নামেন তাঁরা। এমন এক ইস্যুতে শহরবাসীর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শহর প্রশাসনকেও নাড়িয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু শহরবাসীর সেই দাবিকে কি সত্যিই খুব গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিল নগর প্রশাসন? সে প্রশ্ন উঠছে। কারণ শহরবাসী যখন রাস্তায় নেমে পর্যটক আনাগোনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তারপরই দেখা গেল শহরে আরও পর্যটক বেড়ে গিয়েছে।
স্পেনের বার্সিলোনা শহর এমনিতেই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের ভরকেন্দ্র। সেখানে আবার হালে ফর্মুলা ওয়ান কার রেস এবং আমেরিকান কাপ আয়োজন করা হয়েছে।
শহর প্রশাসন এই ২ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এটাই বোঝাতে চাইছে যে তাঁরাই এ শহরে আসুন যাঁরা মোটা অর্থ এখানে এসে ব্যয়ও করতে পারবেন। ব্যয় ক্ষমতা বেশি থাকা পর্যটকদের আনাগোনাও কিন্তু বরদাস্ত করতে পারছেন না বার্সিলোনার বাসিন্দারা।
গতবছর বার্সিলোনায় জুলাইতে পর্যটকের যে ভিড় নজরে পড়েছিল তার চেয়ে এ বছর জুলাইতে ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। আর তা বাড়ে জুলাইয়ের শুরুতেই বার্সিলোনার ৩ হাজার বাসিন্দা পথে নেমে শহরে পর্যটক প্রবেশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পর।
কেন পর্যটক চাইছেন না সাধারণ মানুষ? বার্সিলোনার বাসিন্দারা সাফ জানাচ্ছেন, এত পর্যটক এ শহরে সারাবছর ঘুরে বেড়ান যে ভিড়ের চোটে অনেক রাস্তায় হাঁটা দায় হচ্ছে।
প্রতি রাতে পর্যটকদের বার্সিলোনায় থাকার জন্য কর বাবদ ৪ ইউরো গুনতে হয়। সব কিছুতেই মোটা অর্থ ব্যয়। তাতেও পর্যটকে বিরাম নেই। শহরের আম জনতা চাইছেন নিয়ন্ত্রিত পর্যটনে অবিলম্বে জোর দিক প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা